নাটোরের বড়াইগ্রামে অর্থের অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে মেধাবী শিক্ষার্থী শাকিল হোসেনের (১৭)। সে উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের দ্বারিকুশি গ্রামের কৃষক বাবলু হোসেনের (৫৫) দ্বিতীয় ছেলে। তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞানে মাষ্টার্সে পড়াশোনা করে এবং ছোট ছেলের এখনও বিদ্যালয় জীবন শুরু হয়নি । অন্যের জমিতে কাজ করে সংসার চালানোর পাশাপাশি ছেলেদের পড়াশোনা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে বাবলু হোসেনের।
বড় ছেলে বেলাল হোসেন (২৫) টিউশনি করিয়ে কোনো রকমে নিজের খরচ নিজে যোগাড় করে।
শাকিল হোসেন অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় প্রতি শ্রেণিতেই ১ম স্থান অর্জন করার পাশাপাশি জোনাইল এম এল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় শিক্ষায় এসএসসি এবং জোনাইল ডিগ্রি কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘পালি’ বিষয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ অর্জন করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেলেও অর্থের অভাবে ভর্তি হতে পারছেনা শাকিল হোসেন। বাবা বাবলু হোসেন অনেক চেষ্টা করেও ছেলের ভর্তির টাকা জোগাড় করতে পারেনি। এদিকে ভর্তি সময় প্রায় শেষের দিকে হওয়ায় শঙ্কার মুখে পড়েছে শাকিল হোসেনের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া।
বাবলু হোসেন বলেন, ছেলেকে ভর্তি বাবৎ প্রায় দশ হাজার টাকা প্রয়োজন। পরবর্তীতে আরও টাকা লাগবে। অন্যের জমিতে কাজ করে কোনো রকমে সংসার চালাই। এত টাকা জোগাড় করা আমার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, কেউ একটু সহযোগিতা করলে আমার ছেলেটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারতো। পরবর্তীতে সে বড় ভাইয়ের মত প্রাইভেট পড়ায় নিজের খরচ জোগাড় করতে পারতো।
জোনাইল ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন,বাবলু হোসেন অত্যন্ত গরীব এবং তার ছেলেগুলো মেধাবী। অনেকের সামর্থ্য আছে তাকে সহায়তা করার। আমি আশা করবো কেউ তাকে সহায়তা করবে এবং শাকিল হোসেন সময়ের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে।