এম এস শবনম শাহীন ক্রাইম রিপোর্টার:
ডা. সাবরিনা আরিফকে রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। করোনাভাইরাসের ভুয়া প্রতিবেদন দিয়ে জেকেজি হেলথ কেয়ারের আট কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ডা. সাবরিনা আরিফকে নিয়েও অনুসন্ধান করবে দুদক। ডা. সাবরিনা গ্রেপ্তার হওয়ার পর দিন সোমবার কমিশনের এক সভায় এই অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি সাবরিনার অন্যান্য অবৈধ সম্পদের সন্ধানও করা হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য। জেকেজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল চৌধুরী ডা. সাবরিনার স্বামী। সাবরিনা জেকেজির চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচিত হলেও এখন তিনি তা অস্বীকার করছেন। কোভিড-১৯ রোগের প্রাদুর্ভাবের পর নমুনা সংগ্রহের জন্য জেকেজিকে অনুমোদন দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত মাসে পুলিশের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে তারা নমুনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া সনদ দিচ্ছিল। আরিফকে গ্রেপ্তারের পর রোববার সাবরিনাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দুদক পরিচালক প্রনব বলেন, “সরকারি চাকরিতে বহাল থেকে ডা. সাবরিনা তার স্বামী আরিফ চৌধুরীর সহায়তায় প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে করোন রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে ১৫ হাজার ৪৬০টি ভুয়া মেডিকেল রিপোর্ট প্রস্তত ও সরবরাহ করেছেন। “এতে তিনি আট কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগসমূহ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।”
শিগগিরই অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কমিশনের বিশেষ তদন্ত অনুবিভাগের মাধ্যমে এই অভিযোগটি অনুসন্ধান করা হবে। ডা. সাবরিনা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার ছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার তেজগাঁও থানা পুলিশ সাবরিনাকে আদালতে হাজির করে তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে।