সিরাজগঞ্জের তাড়াশের চলন বিল এবার বহু রুপ ধারণ করেছে বলে তাড়াশের চলন বিল বাসির ধারণা। তাড়া এই জন্যই এবার বহু রুপ ধারণ করা কথা বলেছেন যে প্রত্যেক বছর বর্ষার মৌসুমে একবার বর্ষার পানি চলন বিলে আসে আবার এক বারি চলে যায়,কিন্তু এবার তার ভিন্না রুপ ধারণ করেছে বলে চলন বিলের জনসাধারণের ধারণা। কারণ এবার চলন বিলে তিন তিন বার বর্ষার পানি অক্রমন করে চলন বিলের ডুবে থাকা মানুষের ব্যপক ক্ষয় ক্ষতি করেছে বলে দোবিলা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মোঃ মহাসিন হোসেন বলেন।
সরেজমিনে গিয়ে তাড়াশের চলন বিলে দেখা গেছে কত কঠিন অবস্থায় ও কত কষ্টকরে জীবন করেছে চলন বিলের মানুষ,খমারের হাঁস গুলো পানি বারার কারণে ঠিক মতে খেতে পারছে না খেয়ে হাঁসগুলো রোগে শোকে মরা মরা অবস্থা আর খামারের হাঁস গুলো না বাঁচলে তো আর আমরা বাঁচতে পারি না বলে মন্তব্য করেন খামারি মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান। আবার চলন বিলের মধ্যে যে সব পুকুর গুলোতে মাছ চাষিরা মাছ চাষ করতেন সে গুলোও পানি বাড়ার করণে ডুবে মাছ চাষিদের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মাছ চাষিরা জানান।
তাড়া আরও জানান এবার আমাদের কৃষি জমিগুলো তিন তিন বার পানি বড়ায় তিন তিন বার কামলা কিনতে হয়েছে এতে আমাদের ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা ব্যায় করতে হয়েছে তাঁর পরও আবারও আমাদের কৃষি জমিগুলো জন্য আবারও শ্রমিক কিনতে হবে বলে তাড়া জানান। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আকারের পানি আসার ফলে এবার চলন বিলে প্রচুর মাছের সংকট দেখা দিয়েছে বলে তাড়া মন্তব্য করেন।
চলন বিলের কৃষক মোঃ তোফায়েলকে চাষাবাদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন আমাদের তাড়াশের চলন বিলে এবার মনে হয় আমরা শরীষা থেকে বঞ্চিত হব,আর শরীষা যদি আমার না পাই তাহলে আমাদের এবার বড় সংকটের মধ্যে পরতে হবে এবার আমরা পাটের দামও পাইনি। অপর দিকে তাড়াশ উপজেলায় ২৯ শের চাউল ৫২ থেকে ৫৪ টাকা কেজি আবার যে আটা আমরা কিনতাম ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি এখন সেই আটা কিনতে হয় ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজি তাহলে আমরা বাঁচতে পারি কি ভাবে এ কথাও তিনি প্রকাশ করেন আর সবজির বাগানে তো আগুন।