পাবনার কবিতা সংসদের সম্মেলনে
তার সাথে দেখা হয় এক শুভক্ষনে।
আজ থেকে তা প্রায় দুই যুগ আগে
প্রথম দেখার সাথেই তাকে ভাল লাগে।
কথায় তিনি জানালেন জন্মস্থান তাড়াশে
আমি নিমগাছির শুনে খুশীতে মুচকি হাসে।
আপন করে নিলেন মোরে নিমিষে
হল থেকে বেরিয়ে খাওয়ালেন পাশে বসে।
এমনধারা অতিথি পরায়ন ছিলেন আজীবন
দেখা হলে চা – সিঙ্গাড়ার করতেন নিমন্ত্রন।
না খাইয়ে ছাড়তেন না নাছোড়বান্দা সম
কৃতজ্ঞতায় – শ্রদ্ধায় নত চিত্ত মম।
বাংলাদেশ কবিতা সংসদের স্থায়ী সদস্য ছিলেন
আমাকেও আজীবন মেম্বর করে নিলেন।
পরবর্তীতে আমার ক্ষুদ্র যা কিছু লেখা
বলা চলে এসবই তার কাছে শেখা।
চলনবিলের নানা স্থানে সাহিত্য সম্মেলনে
যাবার বেলায় সংঙ্গী করে নিতেন আমায় সনে।
তাড়াশে এমন হলে হয়তো দুদিন আগে
ফোন করে জানাতেন গভীর অনুরাগে।
মিটিংয়ে সাক্ষাৎ হলে প্রায়ই চুমু খেতেন
ভালবাসা কাকে বলে প্রকাশ্যে দেখিয়ে দিতেন।
নাতনীসম কবিগন সভাস্থলে এলে
প্রেমিক – প্রেমিকা হেন মিশতেন তাদের পেলে।
দিলখোলা, মহৎপ্রান, মানবিকতায় ভরা
চলনবিলের ছিলেন তিনি উজ্জ্বলতম তারা।
কারো মুখে কোনো নিন্দা শোনা যায়নি তার
এরূপ ভাল মানুষ আজ খুঁজে পাওয়া ভার।
কবি, লেখক, সাহিত্যিক কী নামে যে ডাকি তারে
হঠাৎ গত ২৩ জুন চলে গেলেন পরপারে।
ছালাম জানাই আমার গুরু হাজী এম রহমত উল্লাহ্
জান্নাত তারে দিও তুমি হে মাবুদ মহান আল্লাহ্।