চলনবিলের আলো ডেস্কঃ
খ্যাতিমান কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম ফর সোস্যাল ডেভলপমেন্ট- আইসিএসডি উপদেষ্টা ড. মিঠুন মোস্তাফিজ। আইসিএসডি অস্ট্রেলিয়া’র এক বিবৃতিতে সংস্থাটির ডিজিটাল মিডিয়া উপদেষ্টা এন্ড্রু কিশোরের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। আইসিএসডি উপদেষ্টা বলেন, বাংলা গানের সূরের মহানায়ক ছিলেন এন্ড্রু কিশোর। দেশের সঙ্গীতাঙ্গনের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র ছিলেন তিনি। বাংলা চলচ্চিত্রের গানে ‘প্লে-ব্যাক’ স¤্রাট হিসেবে আকাশ ছোঁয়া খ্যাতি ছিল তাঁর। তাঁর গাওয়া ‘সবাই তো ভালবাসা চায়’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন মানুষ’ সহ এমন অসংখ্য জনপ্রিয় গান মানুষের মুখে মুখে ফেরে। শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসেবে আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এই গুণী শিল্পী।
আধুনিক ও চলচ্চিত্রজগতের কালজয়ী অনেক গান তাঁর কণ্ঠে প্রাণ পেয়েছে, সমৃদ্ধ হয়েছে। সুখ-দুঃখ, হাসি-আনন্দ, প্রেম-বিরহসহ সব অনুভূতির গানই সমান দক্ষতায় গেয়েছেন এন্ড্রু কিশোর। মুক্তিযুদ্ধের পর কিশোর, নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, আধুনিক, লোক, দেশাত্মবোধকসহ প্রায় সব ধারার গানে রাজশাহী বেতারে তালিকাভুক্ত হন তিনি। ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। দীর্ঘ এক বছরের কাছাকাছি সময় ধরে ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধে হার মেনে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন এই কণ্ঠ জাদুকর। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি নিজের ইচ্ছায় গেল ১১ জুন দেশে ফেরেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি আমার দেশে গিয়েই মরতে চাই।’ ১৯৫৫ সালে রাজশাহীতে জন্ম এন্ড্রু কিশোরের।
নিজ শহরের মহিষবাথান এলাকায় বোনের বাড়িতে শেষ হলো তাঁর জীবনের গল্প। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বিবৃতিতে ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম ফর সোস্যাল ডেভলপমেন্ট-আইসিএসডি, অস্ট্রেলিয়া’র উপদেষ্টা ড. মিঠুন মোস্তাফিজ বলেন, এন্ড্রু কিশোরের মৃত্যুতে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যে অপূরণীয় ক্ষতি হলো তা’ কখনো পূরণ হবার নয়।