ঝালকাঠি ডিবি পুলিশের ইয়াবা ফিটিং মামলায় সাংবাদিক আসিফ মানিক নির্দোষ প্রমানিত হয়েছে। ২০ মার্চ রবিবার ঝালকাঠি জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ২য় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মাহবুবা শারমিন সাংবাদিক আসিফ মানিক (৫২), মনির (৪২) জাহিদ (৪৫) কে মামলা থেকে খালাস প্রদানের রায় ঘোষনা করেন। আসামী পক্ষের আইনজীবি মঞ্জুর হোসেন জানান, “প্রবীন সাংবাদিক আসিফ মানিক একজন বরি মহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। শহীদ পরিবারের পুর্নবাসনের জন্য সরকারের বরাদ্ধকৃত জমি দখল করতে একটি কুচক্রি মহল তাকে মিথ্যা মামলায় আটক করানোর প্রচেষ্টা চালায়। ঝালকাঠি ডিবি অফিসের এসআই মফিজ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গত ১৬জুলাই ২০১৯ তারিখ সন্ধ্যায় কৃষ্ণকাঠি বিশ্বরোডের ঢালে মসজিদের সামনে সাংবাদিকের আসিফ মানিকের মটর সাইকেল দেখে ধারনা করে সামসুর হোটেলে তিনি বসা আছেন।ডিবি পুলিশ দল ওই হোটেল ও পার্শ্ববর্তী এলাকা রেট দেয়ার নামে তল্লাশী শুরু করে এবং সামসুর হোটেলের ফ্লোর থেকে ২ পিচ ইয়াবা পলিথিনের মোড়কে প্যাচানো উদ্ধার করে। যাহা জব্দ তালিকায় ¯^াক্ষীরা আদালতে শিকার করে। পুলিশ রেইটের ঘটনার সময় সাংবাদিক আসিফ মানিক পার্শ্ববর্তী আলফালাহ মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ছিলেন।ঘটনাস্থল থেকে মনির নামের যুবককে আটক করে । ডিবির এসআই মফিজুলের পরিকল্পিত ওই মামলায় আসিফ মানিককে জড়ানো হয়। মনগড়া ওলোটপালট এজাহার করে এসআই মফিজুল বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।”
এ ব্যাপারে সাংবাদিক আসিফ মানিক পুলিশের আইজিপি বরাবর এই মিথ্যা মামলার প্রতিকার চেয়ে আবেদন করলে “আইজিপি সেল” এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গোপনীয় তদন্তে মামলার বাদী মফিজ নিজেই ফেঁসে গেলেন। আইজপির নির্দেশে ঝালকাঠি পুলিশ সুপার বাদী হয়ে এসআই মফিজের বিরুদ্ধে পুলিশ বিভাগীয় মামলা দায়ের করেন ।মালার তদন্তে এনআই মফিজুল দোষী প্রমনিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে পুলিশ বিভাগীয় আইনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।
রায় ঘোষনার পর সাংবাদিক আসিফ মানিক জানান, “আমি নির্দোষ নামাজে ছিলাম তাই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাকে মিথ্যা মালা থেকে রেহাই দিয়েছেন। এজন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই।”
#চলনবিলের আলো / আপন