যশোরের অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সদ্য বিদায়ী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক গুলো থেকে অবৈধ ভাবে লাখ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে ডাঃ মিজানুর রহমান খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক হিসাবে পদন্নোতি হয়েছে। তিনি অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগদান করেছেন। তিনি অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বিদায় নেওয়ার আগে অভয়নগর নওয়াপাড়া বে-সরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে অঘোষিত ভাবে অনিয়ম ক্ষতিয়ে দেখার অজুহাতে লাখ-লাখ টাকা অবৈধ ঘুষ গ্রহন করেছেন। যা সরকারি চাকরির বিধির পরিপন্থী। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, বে-সরকারি ওই সব হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোর অনিয়ম ক্ষতিয়ে দেখতে গিয়ে ক্লিনিক মালিক পক্ষকে ক্লিনিক সীলগালাসহ জরিমানা করার ভয় দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহন করে তিনি অভয়নগর উপজেলা থেকে বিদায় নিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বে-সরকারি হাসপাতালের মালিক জানান, ডাক্তার মিজানুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে আমার হাসপাতালটি বন্ধ করার ভয় দেখিয়ে আমার থেকে দেড় লাখ টাকা আদায় করেছেন। ওই টাকা দিতে গিয়ে আমার গ্রামের বাড়ির এক খন্ড জমি বিক্রি করা লেগেছে। এমন অভিযোগ নওয়াপাড়ার সকল বে-সরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোর একাধিক মালিকরা করেছেন। তথ্য অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, ডাঃ মিজানুর রহমানের ওই ঘুষ কান্ডের সহযোগী হিসাবে কিছু সাংবাদিক ও কতিপয় ব্যক্তিদের যোগসাজশে ঘুষের লাখ-লাখ টাকা গ্রহন করে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগদান করেছেন। জরুরি ভাবে একজন সরকারি সদ্য বিদায়ী ডাঃ মিজানুর রহমানের ঘুষ বানিজ্যের এই রকমারি কারবার তদন্ত করে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করেছেন সচেতন মহল। এবিষয়ে ডাঃ মিজানুর রহমান অবৈধ ভাবে টাকা গ্রহনের বিষয় অস্বীকার করে জানান, আমি বেসরকারি হাসপাতাল গুলোতে গিয়েছি তাদের যেসব অনিয়ম আছে সে গুলোর বিষয়ে কথা বলেছি সবাইকে অনিয়ম ঠিক করার পরামর্শ দিয়েছি। কোন টাকা গ্রহন করা হয়নি। আর যদি কেউ আমার নাম ভাঙিয়ে টাকা আদায় করে থাকে এব্যাপারে আমার কিছু করার নেই। আমার নাম ভাঙিয়ে অনেকে এসুযোগ গ্রহন করতে পারে এর জন্য আমি দায়ী নয়। এব্যাপারে সদ্য যোগদানকারী যশোর সিভিল সার্জন মাসুদ রানার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।