রুবিনা আজাদ, আঞ্চলিক প্রতিনিধি বরিশাল:
গলাকাটা ও শরীরের বিভিন্নস্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত এক যুবতীর (৩০) লাশ উদ্ধারের তিন মাসের অধিক সময় পার হলেও আজো ওই হতভাগ্য যুবতীর পরিচয় মেলেনি। এনিয়ে চরম বিপাকে পরেছেন জেলার হিজলা থানা পুলিশ। সোমবার দুপুরে থানার ওসি অসীম কুমার সিকদার জানান, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে গত ১৫ মার্চ বিকেলে হিজলা থানার কুঞ্জপট্টি আশ্রয়ন প্রকল্প (গুছগ্রাম) সংলগ্ন মেঘনার শাখা নদীর পারের চর থেকে অজ্ঞাতনামা ওই যুবতীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণের পূর্বে নিহতের সুরাতহাল রির্পোটে ওই যুবতীর গলাকাটাসহ বাম চোখের উপরে কপাল থেকে বাম গাল পর্যন্ত, পিঠে, বাম ও ডান হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুল, পেটের বাম পাশে নাভী বরাবর তিনটি, বাম পায়ের হাটু ও হাটুর নিচে ধারালো অস্ত্রের গুরুতর জখম থাকার কথা উল্লেখ করা হয়।
ওসি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে যুবতীকে ধর্ষণের পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের মুখমন্ডল গোলাকার, মাথার চুল কালো লম্বা, গায়ের রং ফর্সা, উচ্চতা অনুমান পাঁচ ফুট ও হাতের নখে মেহেদীর রং লাগানোছিলো। লাশ উদ্ধারের পর থানা পুলিশ নিহতের ছবিসহ ম্যাসেজ পাশ্ববর্তী বিভিন্ন থানায় প্রেরণ করেন। ঘটনার তিন মাসের অধিক সময় পার হলেও হতভাগ্য ওই যুবতীর আজো কোন পরিচয় মেলেনি।