এসএম স্বপন(যশোর)অফিসঃ
গত ২০ মে ভারতকে লন্ডভন্ড করে বাংলাদেশে ধেয়ে এসে ভয়াল ছোবল বসায় প্রলয়ঙ্কারী সুপার সাইক্লোন ঘূর্ণিঝড় আম্পান ঝড়। আর তাতে করে লন্ডভন্ড হয়ে যায় বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরাঞ্চল সহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল। আর তার ক্ষত এখন সারিয়ে উঠতে পারেনি মানুষজন। আম্পান ঝড়ের ২৮ দিন অতিবাহিত হলেও বেনাপোল কাস্টমস হাউজের ভিতরের একটি সেগুন গাছ ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় বেনাপোল-ছোটআঁচড়া অভিমুখী রাস্তার কাস্টমস হাউজের পাঁচিলের দেওয়াল ভেঙে হেলে পড়ে আছে। যা থেকে যেকোন মূহুর্তে ঘটতে পারে মারাত্মক দূর্ঘটনা অভিযোগ স্থানীয়দের। বেনাপোল কাস্টমস হাউজের এমন দায়িত্বহীনতায় তারা হতভম্ব হয়ে গেছেন।
স্থানীয় দোকানদারা অভিযোগ করে বলেন, আম্পান ঝড়ের দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও, কাস্টমস কর্তপক্ষ এখনো পর্যন্ত গাছটি অপসারণের কোনো ব্যবস্থায়ই গ্রহণ করেনি। অনতিবিলম্বে গাছটি সরানো না হলে যে কোন মূহুর্তে মারাত্মক দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে তারা অভিযোগ করেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ শার্শা উপজেলা শাখার প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, প্রতিদিন বেনাপোল ছোটআঁড়চা এই রোড দিয়ে হাজার হাজার মানুষ সহ যানবাহন চলাচল করে থাকে। আর আমার এই রাস্তার পাশে একটা টিভি মেরামতের দোকান আছে। মানুষজন ও যানবাহন দেখি ঝুঁকি নিয়ে এই গাছের তলা দিয়ে চলাচল করে। মাঝে মাঝে ভাবি কখন না গাছটি ভেঙে কোন জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এব্যাপারে বেনাপোল কাস্টমস হাউজের রাজস্ব কর্মকর্তা নইম মিরন জানান, গাছটি সরকারি হওয়ায়, সরকারি অনুমতি ছাড়া কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাঁটার কোন এখতিয়ার নেই। যে কারণে জনগণের অভিযোগ থাকলেও, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নিরুপায়। আর তাই এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে। তারা এসে গাছগুলো দেখেও গেছে। শুধু এই একটি গাছই নয়, আরও অনেকগুলো গাছ ঝড়ে ভেঙে কাস্টমস হাউজের মধ্যে পড়ে রয়েছে। যে গাছগুলো কাটার ব্যাপারে চিঠি চালাচালি চলছে। আসা করা যায় সপ্তাহ খানেকের মধ্যে এর একটা সমাধান হবে এবং তারা গাছগুলো অপসারণ করবেন। আর সরকারি হওয়ায় নিলামের মাধ্যমে গাছগুলো বিক্রি করা হবে বলে তিনি জানান।