সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া ফুলঝোড় নদীতে বর্ষা কালে পানিতে থৈথৈ করে। নদীর দু-কুলে পানিতে ভরে ওঠে। আবার সেই নদীতে গ্রীষ্মকালে নদীর দুই পারে চর জেগে বোর ধান সহ সকল ধরনের সবজীর চাষ হয়ে থাকে। উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের চরকালিগঞ্জ এলাকায় গিয়ে দেখা যায় নদীর বুকে চর জেগে ওঠায় কৃষক সেখানে বোর ধান লাগিয়েছিলো। সেই বোর ধান কাটতে দেখা গেছে। বর্ষাকালে নদীতে মাছ মেরে যে কৃষকেরা জীবিকা নির্বাহ করে,আবার সেই কৃষকেরাই গ্রীষ্মকালে নদীর বুকে চর জেগে উঠলে ধান চাষ করা সহ নানা ধরনের মৌসুমি ফসল চাষ করে সেই অর্থ দিয়ে পরিবারের সকল খরচ বহন করে থাকে।
কথা হয় চরকালিগঞ্জ গ্রামের আব্দুর রহিম মোল্লা ও আলম প্রামানিকের সাথে, পরন্ত বিকেলে মিষ্টি মিষ্টি রোদে নদীর বুকে লাগানো বোর ধান কাটছে। তারা জানান,বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার সময় যখন দুপাশে চর জেগে ওঠে ঠিক তখনি মাঘ মাসের শেষের দিকে আমরা নদীতে বোর ধান লাগিয়েছিলাম। দীর্ঘ ৩ মাস পর আমরা সেই ধান কাটছি। দীর্ঘ ৩০-৩৫ বছর যাবত আমার বাপ-দাদারা এই ভাবে নদীতে ধান সহ শাকসবজি চাষ করে আসছে। নদীতে বোর ধান রোপনে তেমন একটা খরচ হয় না,খুব অল্প খরচে ভালো ফলন পাওয়া যায়। এবং তেমন পানি সরবরাহ ও পরিচর্যা ও করতে হয় না। এখন এই ধান কাটার পর বর্ষা আসার আগ পর্যন্ত বাদাম সহ নানা ধরনের ফসলের আবাদ করা যাবে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর থেকে আমরা নদীতে জেগে ওঠা চরে এসব আবাদ করে সংসারে বাড়তি আয় করে থাকি। আর তাছাড়াও আগের মত আর বন্যা হয় না। তাই আমরা এই সব আবাদের উপরই নির্ভরশীল।
এবিষয়ে উল্লাপাড়া কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমি বলেন,নদীতে চর জেগে ওঠায় সেই সব চরে অনেক কৃষক মৌসুমি আবাদ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এবং উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাদের সঠিক পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
#CBALO/আপন ইসলাম