রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় এ বছর উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে ফুলকপির আবাদ। শীতের শুরুতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মাঠে এখন সবুজে ঘেরা ফুলকপির বিস্তীর্ণ খেত, যা কৃষকের মুখে এনেছে নতুন আশার হাসি।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে গত বছরের তুলনায় প্রায় ২০–২৫ শতাংশ বেশি জমিতে ফুলকপি চাষ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া, সহজ পরিচর্যা, কম উৎপাদন ব্যয় এবং বাজারে স্থিতিশীল চাহিদা—এসব কারণেই কৃষকরা অন্য সবজির তুলনায় ফুলকপি চাষে বেশি আগ্রহী হয়েছেন।
স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ফুলকপি দ্রুত বিক্রি করা যায় এবং লাভও তুলনামূলকভাবে বেশি। খরচ কম, ঝুঁকি কম—এ কারণে অনেকেই এখন ধান বা অন্যান্য ফসলের পরিবর্তে কপি চাষে ঝুঁকছেন।
উপজেলার নোহালী, গজঘন্টা, কোলকোন্দ, আলমবিদিতর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় ভোর থেকেই পাইকাররা খেতেই গিয়ে কপি কিনে নিচ্ছেন। বর্তমানে প্রতি পিস ফুলকপি পাইকারি বাজারে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মৌসুম আরও জোরালো হলে দাম কিছুটা কমলেও কৃষকের আয় বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, “গঙ্গাচড়ার মাটি ও আবহাওয়া ফুলকপি চাষের জন্য খুবই উপযোগী। কৃষকদের মানসম্মত বীজ সরবরাহ করা, প্রশিক্ষণ এবং আধুনিক চাষ পদ্ধতি প্রচারের ফলে এ বছর ফলন খুব ভালো হয়েছে।”
ইতোমধ্যে স্থানীয় বাজারে নতুন কপিও উঠতে শুরু করেছে। বাজারে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে এবং শহর–গ্রাম সর্বত্র শীতের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে।
গঙ্গাচড়ার কৃষকরা বলছেন, “এখনকার মতো দাম থাকলে এবং আবহাওয়া ভালো থাকলে এ মৌসুমটা লাভজনক হবে।”