শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

বাগমারায় চ্যালেঞ্জ দিয়ে পুকুর খনন করছেন জসিম, খনন বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: শনিবার, ৬ জুন, ২০২০, ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাগমারা উপজেলার বর্ডার এলাকা হামিরকুৎসা ইউপির শ্রীপতিপাড়া বেলতলা বিলে প্রায় ১০বিঘার অধিক আয়তনের একটি পুকুর খনন করছে,প্রভাবশালী ব্যক্তি আলহাজ্ব মজির ছেলে জসিম। মোঃ জসিম বলেন, সকলকেই ম্যানেজ করে পুকুর খনন করছি। টাকা যতই খরচ হোক পুকুর খনন সম্পন্ন করেই ছাড়বো। দিন রাত হচ্ছে পুকুর খননের কাজ।এদিকে স্থানীয় কৃষক ও সাধারন জনতার অভিযোগ, উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করেই দিনের পর দিন রাতের আধারে প্রতিযোগীতা মূলক চলছে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন কার্যক্রম।রাজশাহী জেলার মধ্যে সবচাইতে বেশি পুকুর খনন হচ্ছে বাগমারা উপজেলায়। সরেজমিনে গেলেই দেখা মিলবে তার বাস্তব চিত্র।

 

আর এ সকল অপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা, ও প্রশাসন চক্রটির ক্ষমতার বলে। তিন ফসলী ও দুই ফসলী জমি গত ১০ দিন ধরে দিনে ও রাতে আধারে প্রশাসকের চোখ ফাঁকিদিয়ে সরকারী আইন অমান্ন করে জসিম পুকুর খনন করছেন । গত দেড় মাস আগে মেজিস্টেট সরজমিনে গিয়ে ভেকু ভাংচুর চালাই এবং জরিমানা করতে গেলে জসিম অসুস্থতার ভান করে, পরে সুস্থ হয়ে ওঠে আবার।তারপরও থেমে নেই পুকুর খনন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কৃষক ও স্থানীয়রা জানায়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী করোনাভাইরাস সংকটের মধ্যে বাড়ির আশপাশে কোন জমিই ফাঁকা রাখা যাবেনা। সেখানে ফসলি জমি কেটে পুকুর খনন চলছে।

 

আর কৃষদের বেকার করে ফসলি জমি খনন করে তৈরী করা হচ্ছে পুকুর। এছাড়া স্থানীয় এলাকাবাসীরা বলেন আমাদের বেলতলার কিছু জমির মালিকগন ও বাগমারার কিছু সংখ্যক দালাল চত্রুের ছত্র ছায়ায় পুকুর খনন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া এলাকা বাসী অভিযোগ করে বলেন জমির মালিক জমি দিতে নারাজ হলে তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং আমাদের কাজে বাধা সৃষ্টি করলেও এখানে পুকুর খনন হবেই। এসকল লোকজন দলের নাম ভাঙ্গাচ্ছেন বলেও অভিযোগ স্থানীয়দেরা । এ বিষয়ে হামিরকুৎসা ইউপির সচেতন ব্যক্তিরা পুকুরপাড় খননকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।এবং বলেন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দেশ ও দেশের মানুষ। বেকার হচ্ছে কৃষক।

 

এছাড়া পরিবেশ পড়ছে ক্ষতির মুখে। ঘটছে জলবায়ুর পরিবর্তন।এদিকে, রাজশাহী জেলা প্রশাসক মোঃ হামিদুল হক তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন। বিশ্বব্যাপি চলমান করোনা পরিস্থিতিতে সারাবিশ্বে দেখা দিতে পারে খাদ্য সংকট। তাই আমাদের সকল কৃষি জমিকে চাষের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এমনকি সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা সমূহের অনাবাদি জমিও ফেলে রাখা যাবেনা।কোন জমিতে ধান চাষ না হলে, শাকসবজি, ফলমূল চাষাবাদ করতে হবে।

 

মনে রাখতে হবে কোন জমি পরপর তিন বছর অনাবাদি পড়ে থাকলে সরকার ইচ্ছা করলে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহন ও প্রজাসত্ব আইন ১৯৫০ অনুযায়ী খাস করতে পারে।তাই সকলকে নিজ নিজ জমিতে যে কোনও ফসল ফলাতে অনুরোধ করা হলো। এবিষয়ে বাগমারা উপজেলা ভূমি অফিসার বলেন আমাদের কাছে জমি সংস্কারের জন্য আবেদন করছিল, আমরা তা দেখে সংস্কার করতে বলেছি, কোন পুকুর খনন করতে বলা হয়নি।বিষয় টি দেখা হবে বলে তিনি জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর