সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য ৪ হাজার ৩৫০ জন ভর্তি-ইচ্ছুক নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে মেধা তালিকায় প্রথম হয়েছেন পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের শিক্ষার্থী মিশরী মুনমুন। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় তিনি পেয়েছেন ৮৭ দশমিক ২৫
মুনমুনদের বাড়ি পাবনা জেলা শহরের রাধানগর নারায়ণপুর মহল্লায়। বাবা মো. আবদুল কাইয়ুম স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডে চাকরি করেন। মা মুসলিমা খাতুন গৃহিণী। তিন বোনের মধ্যে মিশরী মুনমুন সবার ছোট। বড় বোন পেশায় চিকিৎসক, মেজ বোন স্নাতকে পড়েন। মুনমুন পাবনা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি ও সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন।
ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিশরী মুনমুন তাঁর ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা বলেছেন।
ফলাফল প্রকাশের পর অনুভূতি কী?
মিশরী মুনমুন: আলহামদুলিল্লাহ, ভালো। আমি, আমার পরিবার, শিক্ষক, প্রতিবেশী, স্বজনসহ সবাই অনেক খুশি।
ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি কেমন ছিল?
মিশরী মুনমুন: প্রথমে লক্ষ্যটা স্থির করেছি। তারপর নিয়ম করে পড়েছি। ক্লাস করেছি। যে বিষয়গুলোতে দুর্বল মনে হয়েছে, সেগুলো প্রাইভেট পড়েছি।
লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য কী করতে হয় বলে মনে করেন?
মিশরী মুনমুন: প্রথমে লক্ষ্যে স্থির থাকতে হবে। মানে নিয়ত ঠিক রাখতে হবে। তারপর বেশি বেশি চাইতে হবে। বেশি বেশি চাইলেই লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় বলে আমার মনে হয়েছে।
ভালো ফলের জন্য কী ধরনের প্রস্তুতি নিতে হয় বলে মনে করেন?
মিশরী মুনমুন: প্রথমত, পাঠ্যবই ঠোঁটস্থ রাখার কোনো বিকল্প নেই। দ্বিতীয়ত, সময়কে কাজে লাগিয়ে পড়া। আমি সব সময় পাঠ্যবই আয়ত্তে রাখার চেষ্টা করেছি। নিয়মিত ক্লাস করেছি। প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষকদের পরামর্শ নিয়েছি। এতেই ভালো ফল এসেছে বলে মনে করি।
পাঠ্যবইয়ের বাইরে আর কী কী বই পড়েন?
মিশরী মুনমন: মূলত পড়তেই আমার ভালো লাগে। ভালো বই পেলেই পড়ি। তবে ভর্তি পরীক্ষার আগে সাধারণ জ্ঞান ও চলতি ঘটনার বইগুলো পড়েছি।
আপনার অনুপ্রেরণা কী?
মিশরী মুনমুন: প্রথম অনুপ্রেরণা আমার মা–বাবা। সর্বক্ষণ তাঁরা আমার খেয়াল রেখেছেন, উৎসাহ দিয়েছেন। এ ছাড়া আমার কলেজের শিক্ষক, গৃহশিক্ষকসহ সবাই আমাকে সহযোগিতা করেছেন, সাহস দিয়েছেন। এটাই অনুপ্রেরণা ছিল।
চিকিৎসক হিসেবে কোন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হতে চান?
মিশরী মুনমুন: সেটা এখনো ঠিক করিনি। পড়তে পড়তে যে বিষয়ে আমি ভালো করতে পারব, সেদিকেই এগোতে চাই।
পেশা নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
মিশরী মুনমুন: প্রথমত ভালো চিকিৎসক হতে চাই। তারপর মানুষের জন্য, নিজের এলাকার জন্য কিছু করতে চাই। এলাকায় থেকে মানুষের সেবা করতে চাই।
নিউজ টেন টেলিভিশন : সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
মিশরী মুনমুন: ধন্যবাদ।