আশরাফুজ্জামান সরকার, গাইবান্ধাঃ-
পলাশবাড়ী পৌরশহরের জামালপুর গ্রামের হতদরিদ্র রিক্সাচালক সোহেল মিয়া-মেরিনা বেগম দাম্পত্য জীবনে প্রথমতঃ এক মেয়ের পর ওই দম্পতি এক মেয়ে এবং এক ছেলেসহ যমজ সন্তানের জন্ম দেন। এরপর হতে শ্রমজীবি সোহেল-মেরিনা দম্পতির সংসার জীবন বেশ ভালই কাটছিল। ছোট্ট শিশু মাত্র সাড়ে ৩ বছর বয়সে ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে পড়েন ছেলে সোলাইমান আলী(৫)। কিন্তু অভাবের সংসারে অর্থাভাবে সঠিক পরীক্ষা-নীরিক্ষা করতে না পারায় প্রায় দেড় বছর পেরিয়ে যাবার একপর্যায় ব্রেইন টিউমার আক্রান্ত হবার বিষয়টি ধরা পড়ে ৷
নিত্যদিনের অভাব-অনটনের সংসারে ছেলের ব্যয়বহুল চিকিৎসায় সঞ্চয় যা ছিল তা ইতোমধ্যেই শেষ হয়। এক চিলতে ভিটেমাটি আর শেষ সম্বল ওই রিক্সাটি ছাড়া পরিবারটির সঞ্চয় বলতে আরকিছুই নেই।এর উপর করোনার চলমান ক্রান্তিকালে রিক্সা চালাতে না পেয়ে পরিবারটির দু’বেলা দুমুঠো অন্নের সংস্থান যেখানে নেই সেখানে আদরের সন্তান সোলাইমানের চিকিৎসা দুরূহ হয়ে পড়েছে। ছোট্ট শিশু সোলাইমান গত আড়াই মাস ধরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. তোফায়েল এবং ডা.রাজকুমারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রয়োজনীয় অর্থাভাবে তার অপারেশন না করতে পারায় ক্রমান্বয়ে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে। ইতোমধ্যেই লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়েছে।আরো প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার প্রয়োজন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।কিন্তু কোনোভাবেই উক্ত টাকা সংগ্রহের কোন পথ নেই। অসহায় পরিবারটি জরুরি অপারেশন করতে নিরুপায় হয়ে অর্থ সহায়তা চেয়ে সমাজের দানশীল ব্যক্তিত্ব, জনপ্রতিনিধি,সমাজের বিত্তশালী-স্বচ্ছল ব্যক্তিবর্গ, ব্যবসায়ী, রাজনীতিক, ব্যাংক-বীমা, সরকারি ও বেসরকারী সংস্থা,এলাকার মাননীয় সাংসদ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং সর্বোপরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা কামনা করেছেন।
প্রথমতঃ কেবল মহান স্রষ্টার করুণা এবং বিত্তশালীদের মানবিক অর্থ সহায়তাই পারে সোলাইমানের জীবন বাঁচাতে।
সাহায্য পাঠাইবার ঠিকানাঃ-মোঃ সোলাইমান আলী, প্রযত্নে পিতাঃ মোঃ সোহেল মিয়া, মোবাইল নম্বর: 01314- 175018 বিকাশ একাউন্ট নম্বর: 01314-175018