ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির রাজাপুরে নিজ গ্রামে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আরবী বিভাগের শিক্ষার্থী শিবির পন্থি ইসমাইল হোসাইন মাস্তানির ভয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে আতংঙ্ক বিরাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে জানা যায়, মারামারি, বসতঘরে হামলা ও ভাংচুর সহ নানা অপকর্ম করে যাচ্ছেন ইসমাইল হোসেন। ইসমাইল হোসাইন উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের বামনখান গ্রামের চা বিক্রেতা ফারুক হাওলাদারের ছেলে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী। ইসমাইল হোসাইন এলাকায় ছাত্র শিবির করলেও ঢাকায় উঠে ছাত্রলীগের ব্যানার লাগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে থাকছেন।
ইসমাইল হোসাইন সম্প্রতি একই এলাকার একটি বিধবা পরিবারকে উচ্ছেদ করার উদ্দেশ্যে মৃত আ: ওয়াজেদ আলী খানের বসতঘরে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এ ঘটনায় মৃত আ: ওয়াজেদ আলী খানের ছেলে জামান খান রাজাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহজাহান খান ও একই ইউনিয়নের ৪ ও ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় গর্ণমান্য ব্যক্তিদের মিমাংশা করে দেওয়ার জন্য বলা হলে তারা শুক্রবার (২৯মে) উভয় পক্ষের কথা শুনে মিমাংশা করে তাদের মধ্যে মিলিয়ে দেন।
স্থানীয়রা বলেন, ইসমাইল দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিটে পড়ালেখা করে এটা শুনে আমরা গর্বিত ছিলাম কিন্তু আজ দেখি তার উল্টো। এলাকায় ঝগড়া ফাসাদ ছাড়া ওকিছুই বুঝে না। কিছুদিন আগে একটি বসতঘরে হামলা চালায় ইসমাইল সে ঘটনায় থানা পুলিশ ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা শালিস মিমাংশা করেন। কিন্তু সেটা ইসমাইলের মনভূত না হওয়ায় সে এখন উগ্রপন্থি কথাবার্তা বলে বেড়াচ্ছেন এবং দেখিয়ে নিবেন বলে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় শফিকুল ইসলাম জানান, ইসমাইল শিক্ষিত হতে পারে কিন্তু সেই শিক্ষার মান ও রাখে না, এলাকায় ছোট বড় কাউকে সম্মান দেয়না।
স্থানীয় বাসিন্দা জসিম খান জানান, কিছুদিন আগে তুচ্ছ এক ঘটনায় ইসমাইল হোসাইনের মামাতো ভাই জামানকে বেধরক মারপিট করে। এতে জামানের চোখে ও কানে রক্ত যমাট হয়ে গুরুতর আহত হয়।
একই এলাকার রবিউল সর্দার বলেন, ইসমাইল হোসাইন এলাকায় এসে বিভিন্ন স্থানে মারামারি কাটাকাটি সহ নানা অপকর্ম করে যাচ্ছেন।
স্থানীয় বাছির মৃধা জানান, ইসমাইল ও নিজেকে বড় কিছু মনে করে। কেহ কিছু বললে অকর্থ ভাষায় গালমন্দ সহ হুমকি ধামকি দিয়ে থাকে। ইসমাইলের কারনে আমরা ওএলাকায় ঝেতে পারি না।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, আমি ঢাবি শিক্ষার্থী তাই আমায় সম্মান নস্ট ও সমাজে হেও প্রতিপন্ন করার জন্য উদ্দেশ্য মূলকভাবে তারা এ অভিযোগ করেছে।