নান্দাইল (ময়মনসিংহ)প্রতিনিধিঃ
কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন,বিএআরসি, খামারগাঁও,ঢাকা এর অর্থায়নে উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র ও সরেজমিন গবেষণা বিভাগ (বিএআরআই) কর্তৃক আয়োজিত”সমন্বিত বালাই ব্যবস্হাপনা (আইপিএম) এর মাধ্যমে গুনগতমানসম্পন্ন ও নিরাপদ শিম উৎপাদন” শীর্ষক ময়মনসিংহের নান্দাইলে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার ১৭ জানুয়ারি দুপুরে চরকোমরভাঙ্গা গ্রামে প্রধান বৈঞ্জানিক কর্মকর্তা,সরেজমিন গবেষণা বিভাগ,বারি, ময়মনসিংহ ড. মো. মনিরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে এবং প্রকল্পের কো-ইনভেস্টিগেটর,উর্ধতন বৈঞ্জানিক কর্মকর্তা, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বারি, ময়মনসিংহ, গাজিপুর নার্গিস সুলতানার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর ময়মনসিংহের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোঃ আজিজুল হক। অনুষ্ঠানে মূল বক্তা হিসেবে উপস্হিত ছিলেন প্রকল্প সমন্বয়ক ও প্রধান বৈঞ্জানিক কর্মকর্তা উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র,বারি,গাজিপুর ড. মো.শাহাদাৎ হোসেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন,শিম বাংলাদেশের জনপ্রিয় প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি সবজি। কিন্তু পোক-মাকড় রোগবালাই এর আক্রমনে প্রায় ২০-৪১ শতাংশ ফলন কমে যায়।বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পোকা-মাকড় এর আক্রমন থেকে শিম ফসলকে রক্ষা করার জন্য ফেরোমন ফাঁদ,হলুদ আঠালো ফাঁদ,হাত বাছাই,বোটানিক্যালস অথবা উপকারী জীবানুর সমন্বয়ে জৈব বালাইনাশক ভিত্তিক আইপিএম প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন যার মাধ্যমে সাফল্যজনকভাবে পোকা-মাকড় ও রোগবালাই দমন করা যায়। মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে বিঞ্জানীরা উপস্হিত কৃষকদের সরেজমিন গবেষণা ফলাফল দেখিয়ে আইপিএম পদ্ধতিতে শিম চাষে উৎসাহিত করার জন্য এর উপকারী দিকগুলো ব্যাখ্যা করেন আইপিএম পদ্ধতিতে শিমের পোকা-মাকড় ও রোগবালাই দমন পদ্বতি ডদেখে কৃষকরা খুব উৎসাহিত হন এবং তাদের মাঠে এ প্রযুক্তি গ্রহনের আগ্রহ প্রকাশ করেন। উক্ত মাঠ দিবসে ৬০ জন কৃষাণ ও কৃষাণি অংশগ্রহণ করেন।
CBALO/আপন ইসলাম