রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৫ অপরাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
কক্সবাজার সদর উপজেলা জাসাস এর পরিচিতি সভা, জাসাস বিএনপি গোলাপ ফুল বললেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের নির্বাহী মহাসচিব নির্বাচিত হলেন আনোয়ার হোসেন মানিকগঞ্জ ১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর মোটরসাইকেল শোডাউন নাটোর ইমার্জিং কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন নাটোর রেড টিম আটোয়ারীতে ‘মানিকপীর সোনালী কিন্ডার গার্টেন’-এর কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি ও সনদ বিতরণ আলীকদমে মাতামুুহুরী নদীতে পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু ভৈরব নদীতে নৌকা বাইচে উৎসবের জোয়ার, দর্শনার্থীর ঢল সাপাহারে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স জনবীমী’র পিঠা ও আনন্দ উৎসব 

রান্না করা হরিণের মাংস উদ্ধার, লামায় ২ জনের নামে মামলা

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: রবিবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২১, ২:০৯ অপরাহ্ণ

লামা প্রতিনিধিঃ

বান্দরবানের লামায় ২ জনের নামে ‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে’ মামলা করা হয়েছে। মায়া হরিণ আটক ও জবাই করার অপরাধে লামা বন বিভাগ এই মামলা দায়ের করে। লামা বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ নুরে আলম হাফিজ বলেন, বিভিন্ন পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মায়া হরিণ আটক ও জবাই করার ছবি-ভিডিও দেখে লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস. এম. কায়চার দোষীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশ প্রদান করেন। এই বিষয়ে আমার নেতৃত্বে বন বিভাগের একটি টিম গত বৃহস্পতিবার উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের শিলেরতুয়া নোয়া পাড়া এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় নোয়া পাড়ার জাফর আলম মনার বাড়ি থেকে রান্না করা হরিণের মাংস ও আলামত উদ্ধার করা হয়। হরিণ আটক ও জবাই কাজে সম্পৃক্ত থাকায় জাফর আলম মনার ছেলে মেহেরাজ হোসেন কালু (১৮) ও তার চাচা মোঃ বেলাল (৩৫) এর নামে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এর ৬ ধারা লঙ্গন করায় ৩৯ ধারায় শাস্তি চেয়ে মামলা করা হয়েছে। পিওআর মামলা নং- ১৫/লামা-অব ২০২০-২১ইং, তারিখ- ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ইং। লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস. এম. কায়চার বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। দোষীদের অবশ্যই সাজা পেতে হবে।

 

বন্যপ্রাণী হত্যা, পাচার ও আটক করার বিষয়ে তথ্য দিয়ে তিনি সবাইকে সহায়তা করতে অনুরোধ করেন। ইতিমধ্যে সরকার বন্যপ্রাণী বিষয়ে কোন প্রকার তথ্য দিলে তথ্যদাতার জন্য পুরষ্কার ঘোষণা করেছেন। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনের ৬ ধারার ১ উপধারায় বলা হয়েছে, “এই আইনের অধীন লাইসেন্স বা ক্ষেত্রমত, পারমিট গ্রহণ ব্যতীত কোন ব্যক্তি কোন বন্যপ্রাণী শিকার বা তফসিল ৪ এ উল্লিখিত কোন উদ্ভিদ ইচ্ছাকৃতভাবে উঠানো, উপড়ানো, ধ্বংস বা সংগ্রহ করিতে পারিবেন না। উপধারা ২-এ সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোন নির্দিষ্ট বা সকল বন্যপ্রাণী কোন নির্দিষ্ট বন বা এলাকা বা সমগ্র দেশে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য শিকার নিষিদ্ধ করিতে পারিবে। একই আইনের ৩৯ ধারায় বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি ধারা ৬, ১০, ১১ বা ১২ এর বিধান লংঘন করিলে তিনি অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য তিনি সর্বোচ্চ এক বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা সর্বোচ্চ পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন এবং একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটাইলে সর্বোচ্চ দুই বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা সর্বোচ্চ এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন। উল্লেখ্য, গত ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ইং মঙ্গলবার লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ঠান্ডা ঝিরি এলাকা থেকে একটি মায়া হরিণ আটক করে জবাই করে অভিযুক্তরা।

 

CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর