মোঃ আমিনুল ইসলাম, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার এক ব্যাবসায়ীর প্রায় সাড়ে ১৬ লাখ টাকা অল্পের জন্য গচ্চা যাওয়া থেকে বেচেছে।তাকে দেওয়া কার্টুনে মিলেছে ইট। মডেল থানা পুলিশ কাভার্ড ভ্যান জব্দ করেছে। এর চালক ও হেলপারকে আজ শুক্রবার আদালতে চালান দিয়েছে।
জানা যায়, উল্লাপাড়া পৌর শহরের জিহাদ মুক্তি ইলেকট্রনিক্স এর মালিক মোঃ তরিকুল ইসলাম অনলাইনে কম মূল্যে ভালো মানের ইলেকট্রনিক ফ্যান বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখে গত পরশু বুধবার (২৫ নভেম্বর) চট্টগ্রামের সুমাইয়া ইলেকট্রনিক্স দোকানে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে ৮ হাজার ২শ ২৩ টি নেট মোটর ফ্যান কেনেন। এ ফ্যানের মূল্য ১৬ লাখ ৬০ হাজার ২২০ টাকা। অনলাইনে ফ্যান কেনার সময় সুমাইয়া ইলেকট্রনিক্স এর প¶ থেকে সাইফুল ইসলামের সঙ্গে তরিকুল ইসলামের কথা হয় । এরপর তরিকুল ইসলামকে একটি ব্যাংক হিসাব নম্বর দিয়ে জানানো হয় টাকা পাঠানোর আগেই ফ্যানগুলো উল্লাপাড়ায় পৌঁছে যাবে। তবে কার্টুন খোলার আগেই উত্তরা ব্যাংকের মাধ্যমে তাকে সম্পুর্ন টাকা পরিশোধ করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সে মোতাবেক উল্লাপাড়ায় ২শ ৭৪ টি কাটুর্ন বোঝাই কাভার্ট ভ্যান তার দোকানের সামনে এসে দাড়ায়।
কাভার্ড ভ্যানটি আসার পর তরিকুল ইসলাম উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড উল্লাপাড়া শাখা থেকে তাকে দেওয়া হিসাব নম্বরে মোট টাকা পাঠায়। এদিকে টাকা পাঠানোর পর ফ্যানের কাটুর্নগুলো খুলতে গিয়ে তরিকুল ইসলাম ও তার দোকানের লোকজন দেখতে পায় প্রতিটি কাটুর্নের মধ্যে ঝুট এবং একটি করে ইট দেওয়া রয়েছে। বিষয়টি তরিকুল ইসলাম উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশকে জানায়। এদিকে দ্রুত উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড উল্লাপাড়া শাখায় গিয়ে তার পাঠানো টাকাটি পেমেন্ট বন্ধ করার বিষয় জানালে ব্যাংক তা বন্ধ রাখে। এদিকে পুলিশ কাভার্ড ভ্যানসহ এর চালক মাসুদ মিয়া ও হেলপার আরিফ ওরফে সৈকতকে থানায় নেয়। খেদমত পরিবহন কাভার্ড ভ্যান নম্বর-ঢাকা মেট্রো-ড ১৪-৩৬২৩।
এব্যাপারে উল্লাপাড়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এতে কাভার্ড ভ্যানটির চালক ও হেলপারসহ চারজনকে আসামী করা হয়েছে। এর মধ্যে চালক মাসুদ মিয়া ও হেলপার আরিফ ওরফে সৈকতকে আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে। কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে।
CBALO/আপন ইসলাম