সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভাসমানের একযুগ পেরিয়ে গেছে। আজও আলোর মুখ দেখেনি ফলে ভবন নির্মাণে দ্রুত টেন্ডারের দাবি এলাকা বাসির।
দীর্ঘ দিনেও স্থান করে নিতে পারেনি উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে, খাদ্য গুদাম, ডাক বাংলা, পশু হাসপাতাল, ডাক বিভাগ, যুব উন্নয়ন, কৃষি গুডাউন, কৃষি অফিস, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী, সমাজসেবা, মৎস্য দপ্তরে, থানা কমপ্লেক্স, পল্লী উন্নয়ন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, সাব রেজিস্ট্রার অফিস, এলজিইডি ভবন, এজি অফিস,নির্বাচন অফিস, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
এসব সরকারি দপ্তরের কার্যক্রম চলছে বিভিন্ন শিক্ষা অঙ্গন ও ভাড়া বাড়িতে। নিজ নিজ দপ্তরহীন কর্মকর্তা- কর্মচারি সহ জনগনের কষ্ট লাগামহীন। ফলে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। উপজেলা পরিষদ স্থাপন করে সরকারের ব্যায় কমান এবং শিক্ষা ক্যাম্পাস মুক্ত করুন। এতে শিক্ষার্থীরা পাঠদান মুখি হবে, তেমনি দপ্তরহীন কর্মকর্তা-কর্মচারিরা নিজস্ব ঘর পাবে, ভাসমান উপজেলা শব্দটি মুছে যাবে।
গত ২০১১-১২ অর্থবছরে যমুনা নদীর কড়াল গ্রাসে বিলিন হয়ে যায়- চৌহালী উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স। সেই থেকে ভাসমান উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্য ও সকল স্থাপনা।
নিজস্ব দপ্তর বিহীন পরিষদের সেবাগুলো দীঘদিন ধরে অস্থায়ী ভাবে চলছে কলেজ, মাদরাসা ও ভাড়া বাড়িতে। ফলে দাপ্তরিক কার্যক্রম নিয়ে নানা সংকট। উপজেলা পরিষদ এর নিজস্ব জমির ওপর অবকাঠামো নির্মাণে দ্রুত টেন্ডার আহ্বান জরুরি হয়ে পরেছে। কোদালিয়া মৌজায় চৌহালী উপজেলা পরিষদ এর নিজস্ব জমির পাশেই গড়ে তোলার কথা শুনে আসছে জনগন।
আধুনিক উপজেলা গড়ে সরকারের সেবা জনগণের দৌড় গড়ায় পৌঁছাতে উপজেলা কমপ্লেক ও খাদ্য গুদাম দ্রুত বাস্তবায়ন করে ডিলারদের অতিরিক্ত অর্থ ব্যায় কোমানোর আহবান জনগণের। কস্ট লাগবে দ্রুত দরকার “খাদ্য গুদাম, ডাক বাংলা, হাসপাতাল, থানা” সহ সকল স্থাপনা নির্মাণ। এবিষয়ে জনগন, জনপ্রতিনিধি, দপ্তর প্রধান, উপজেলা প্রশাসন ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুনজর প্রয়োজন।