সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের অলিদহ নতুন বাজার সংলগ্ন রফিকুল ইসলামের বাড়িতে ঘটেছে চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা। রফিকুল ইসলামের নাতনি, পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী লামিয়া খাতুন (১১) কে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অলিদহ গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রতিবেশীরা জানান, লামিয়ার বাবার বাড়ি উল্লাপাড়া উপজেলার বাঙালা ইউনিয়নের পিয়ারাপুর গ্রামে। বাবার সঙ্গে লামিয়ার মায়ের ডিভোর্স হওয়ার পর তার মা সুমি খাতুন (রুমি) অলিদহ গ্রামের ছাত্রলীগ নেতা মাছুমের সঙ্গে বিয়ে করেন। এরপর থেকেই লামিয়া নানীর বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত।
অভিযোগ রয়েছে, এতিম শিশুটি নানীর বাড়িতে সংসারের নানান কাজ করতে হতো। এমনকি লামিয়ার নানী প্রায়ই তাকে মারধর করত। গোপন সূত্রের দাবি, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে নানীর পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ উঠেছে, লামিয়াকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
ঘটনার পর পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোক ও ক্ষোভের ছায়া। এলাকাবাসী দ্রুত প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে সলঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, এখনো তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। আইনগতভাবে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।