সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৮ অপরাহ্ন

ই-পেপার

আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীর সমর্থকদের প্রচারনায় বাধা ও হুমকির অভিযোগ রামকৃঞ্চপুর ইউপি চেয়ারম্যান হিরোর বিরুদ্ধে

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২০, ৫:১৯ অপরাহ্ণ

তাড়াশ(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধি:
আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশীর সমর্থকদের প্রচারনার কাজে বাধা ও নানা ভয়ভীতির অভিযোগ উঠেছে রামকৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম হিরো বিরুদ্ধে।

 

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়. আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উল্লাপাড়া উপজেলার রামকৃঞ্চপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী মনজেল হক সাগরের প্রচার প্রচারনা ও তার সমর্থকদের নানা ভাবে ভয়ভীতি ও মাদক দিয়ে মামলার হুমকি প্রদান করার অভিযোগ পাওয়া যায়। আবুল কালাম ও তার স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, গত ২০ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে মনজেল হক সাগর ভাই আমাদের সাথে বনানী বাজারে ভাসানীর চায়ের দোকানের সামনে নির্বাচনী প্রচারনা সভা করে চলে যান।

ওই সময় আমি বলেছিলাম গত বার হিরু ভাইয়ের পক্ষে কাজ করেছি কিন্তু সে চেয়ারম্যান হওয়ার পর ৫ বছরে আমাকে কোন সহযোগীতা করেনি। আমি একজন প্রতিবন্ধী। সেই ক্ষোভে ওই মিটিংয়ে বলেছি সাগর ভাইয়ের পক্ষে এবার কাজ করব।

এই কথা শুনে রাত ১০টার দিকে হিরু চেয়ারম্যান ও তার দলবল নিয়ে আমাকে মাদক মামলা ও মারপিটের হুমকি প্রদর্শন করে। এঘটনায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি। যে কোন সময় পরিবারসহ আমাকে বিপদে ফেলতে পারে বর্তমান চেয়ারম্যান হিরু।

 

মনোনয়ন প্রত্যাশী সাগরের সমর্থক ও কর্মী সাইদুল ইসলাম, আব্দুল লতিফ, হাসান, কালা, মোস্তাফা, মুন্নাফ, মমতাজসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার দিন রাত অনুমানিক ১০টার দিকে হিরু চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে রংয়ের বাজার ভাসানীর চায়ের দোকানের সামনে এসে আবুল কালাম ও তার স্ত্রীকে সাগরের পক্ষে ভোট চাওয়ার কারনে হিরু চেয়ারম্যান মাদক ব্যবসায়ী মামলার ভয় দেখান ও শাসিয়ে যান।

 

ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মনজেল হক সাগর অভিযোগ করে বলেন, গত ২০-১০-২০২০ ইং তারিখে রংয়ের বাজারে আমার সমর্থকদের নিয়ে একটি মত বিনিময় সভা করি। সভা শেষে আমি চলে আসার পরে বর্তমান চেয়ারম্যান হিরু আমার কর্মীদের নানা ভয়ভীতি ও মামলার হুমকি দিয়ে আসে। তিনি আরও বলেন, হিরু চেয়ারম্যানের অত্যাচারে ইউনিয়ন বাসী অতিষ্ঠ। শুধু তাই নয়, বয়স্ক ভাতার কার্ড দিতে ৩ হাজার করে টাকা নিয়েছে। কর্মসৃজন প্রকল্পে লেবারদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। মাতৃত্বকালিন ভাতাসহ নানা অনিয়মের কারখানা খুলেছে ইউপি চেয়ারম্যান হিরু।

 

ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম হিরু সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, সকলের মন রক্ষা করা আমার পক্ষে সম্ভব না। তবে ওই দিন আমি কালামকে কোন মামলার হুমকি দেইনি। তবে আমার একার পক্ষে সকলের মন রক্ষা করা সম্ভব না। সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, আমি কিছু করিনি আপনারা যা পারেন লেখেন এই বলে সে ফোন কেটে দেন।

 

CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর