বেনাপোল স্থলবন্দর দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর এবং একটি কেপিআইভুক্ত স্থাপনা। এ বন্দরে শত শত কোটি টাকার আমদানিকৃত ও রপ্তানিযোগ্য পণ্য সংরক্ষিত থাকে। তাই অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বেনাপোল স্থলবন্দরের ১নং শেড এর সম্মুখে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, বেনাপোল এর সহায়তায় অগ্নিনির্বাপন মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৯ নভেম্বর২০২৫) সকাল সাড়ে ১০ টার সময় বেনাপোল স্থলবন্দরের ১নং শেড এর সম্মুখে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন,বেনাপোল এর সহায়তায় অগ্নিনির্বাপন মহড়ার” পরিচালক মোঃ শামীম হোসেনর শুভ উদ্বোধনে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
এই অগ্নিনির্বাপন মহড়ায় কিভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে হয় সে বিষয়ে সাধারণ শ্রমিক ও বন্দর সিকিউরিটি গার্ড এবং আনসার সদস্যদের কে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,বেনাপোল স্থল বন্দর পরিচালক মোঃ শামীম হোসেন, উপ-পরিচালক সজীব নাজির, উপ-পরিচালক রুহুল আমি, বেনাপোল স্থল বন্দর শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সহিদ আলী,ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তবিবুর রহমান, বন্দরের ফায়ার ইনচার্জ মোঃ শাহিন হোসেন,ফায়ার স্টেশন অফিসার শার্শা উপজেলা বায়জিদ বোস্তামি সহ বেনাপোল স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকবৃন্দরা,সি এন্ড এফ কর্মচারী,সি এন্ড এফ ব্যবসায়ী ও ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ীরা উক্ত উপস্থিত ছিলেন।
বেনাপোল স্থল বন্দর পরিচালক মোঃ শামীম হোসেন বলেন,কিভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে হয় সে বিষয়ে সাধারণ শ্রমিক ও বন্দর সিকিউরিটি গার্ড এবং আনসার সদস্যদের কে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। আর আমরা শুরু থেকেই আগুন নিয়ন্ত্রণ ২৪ ঘন্টা সজাগ আছি। এই বন্দরে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৭ জন ফায়ার ফাইটার আছেন সেই সাথে এই বন্দরের সাধারণ শ্রমিকরাও আছেন।
তিনি আরও বলেন, অগ্নিকান্ড নিরসনের জন্য আমাদের নিজেদেরকে সতর্ক হতে হবে যাতে আমাদের মাধ্যমে কোন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা না ঘটে এবং নিজেরা সতর্ক না হলে ৭ হাজার ফায়ার সার্ভিস নিয়ে আসলেও অগ্নি নির্বাপন করা সম্ভব হবে না।
বেনাপোল হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সহিদ আলি বলেন, বেনাপোল স্থল বন্দরে অগ্নি নির্বাপনের জন্য বেনাপোল শ্রমিকদের আমরা দিক নির্দেশনা দিয়েছি যাতে বেনাপোল স্থল বন্দর অগ্নিমুক্ত এবং নিরাপদ থাকতে পারে। এবং কোন প্রকার গ্যাস লাইট ডিসলাই ও সিগারেট বন্দরে ঢুকে কেউ খেতে না পারে সে বিষয়ে আমরা সব সময় তৎপর আছি।
বেনাপোল ফায়ার ইন্সপেক্টর বায়েজিদ বোস্তামি বলেন,অগ্নি প্রতিকারকের চেয়ে প্রতিরক্ষা উত্তম এবং আজকের এই মহরায় যারা উপস্থিত ছিলেন তারা যেকোনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাই যেকোনো ভুমিকা রাখতে পারবে বলে আমরা মনে করি।