বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

ধানে পোকা দমনে “আলোক ফাঁদ” কমছে কীটনাশকের ব্যবহার

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২০, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ

সোহাগ গাজী-চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:

দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলার কৃষকদের কাছে ধানে আক্রান্ত পোকা-মাকড় চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জনপ্রিয় একটি পদ্ধতির নাম হচ্ছে আলোক ফাঁদ। দিন দিন উপজেলার কৃষকরা এই কৃষিবান্ধব পদ্ধতির প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছেন। বর্তমানে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ৩৬টি ব্লকে উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতায় সন্ধ্যায় আমন ফসলের ক্ষেতে পোকা-মকড়ের উপস্থিতি যাচাইয়ের জন্য এই আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হচ্ছে। এই পদ্ধতি বর্তমানে কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আমন ধানের ক্ষেতের আইলে কোথাও পানি ভর্তি পাত্রে, কোথাও কাগজের উপড় আলো জ্বালিয়ে ধানে আক্রমণাত্মক বিভিন্ন পোকা ধরছেন। কৃষকরা নিজেই জমিতে এই পোকাগুলোর উপস্থিতি দেখে ধান ক্ষেতে পোকার আক্রমণের আগেই কোন ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে তা খুব সহজেই নিরূপন করতে পারছেন ।

এই পদ্ধতি ব্যবহার করে কৃষকরা নিজেই তাদের আমন ক্ষেতে কোন ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে তা স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার সহযোগিতায় প্রয়োগ করতে পারছেন। এতে করে পোকার আক্রমনের আগেই প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারছেন এই এলাকার কৃষকরা।

এই আলোক ফাঁদ ব্যবহার করে এলাকার অনেক কৃষক বর্তমানে খুব কম কীটনাশক ব্যবহার করছেন। এতে কৃষকদের খরচ অনেকটাই কমে আসছে এবং ধানের উৎপাদনের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এবার আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন উপজেলার কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি উপজেলায় ধান ক্ষেতে পোকা-মাকড়ের উপস্থিতি পর্যবেক্ষনে প্রায় প্রতিদিন একযোগে সন্ধ্যায় বিভিন্ন ইউনিয়নে এই আলোক ফাঁদ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

উপজেলার আব্দুলপুর গ্রামের কৃষক জাকির, ফজলুর রহমান ও নশরতপুর গ্রামের কৃষক রহিদুল, সাইদুর, নজরুল, রাজ্জাক, বেলাল জানান, আমরা এই পদ্ধতি ব্যবহার করে অনেক উপকৃত হয়েছি। সহজ লভ্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করে তারা খুব সহজেই খেতের পোকামাকড় গুলো নিধন করতে পারছেন। পোকামাকড়ের উপস্থিতি চিহ্নিত করে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছেন। এতে করে তাদের খরচ অনেকটাই কমে এসেছে। এটা পরিবেশ বান্ধব একটি পদ্ধতি।

উপজেলা কৃষি অফিসার ও কৃষিবিদ মো: মাহমুদুল হাসান জানান, এটি একটি সহজলভ্য পদ্ধতি। কৃষকরা এই পদ্ধতি ব্যবহার করে খুব সহজেই ধানের খেতে পোকা-মাকড়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেন। অপরদিকে কম খরচে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

 

CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর