মোঃ কামাল হোসেন অভয়নগর যশোর থেকে:
কেনা মিটারের ভাড়া নিলে খুঁটি তারের ভাড়া ক্ষতিগ্রস্থরা পাবেনা কেন? সরল সহজ প্রান্তিক মানুষ আদি থেকে শুধু দিচ্ছেন তা নয় বরং নানা যন্ত্রণা সহ্য করে আসছেন আর লোকসানের ঘানি টানতে টানতে তারা কঙ্কাল-হাড্ডি সারে পরিণত। রোদে ঝলসে বৃষ্টি বাদলা,নানা প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে সংগ্রাম করে আসা বিশেষ করে পল্লীর বাসিন্দারা কর-খাজনা, ভ্যাট ,বিলম্ব জরিমানা, ক্ষুদ্রঋণের সুদ ,ইন্সুরেন্স ফি পরিশোধ করার পরও আছে মরার উপর খাড়ার ঘা । প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য সমস্যায় গৃহীত ঋণ ধার্য তারিখে পরিশোধে ব্যর্থ হলে গ্রেপ্তার-হয়রানি মামলা খেতে হয়।সকল কষ্ট দুঃখ যন্ত্রণা কুইনাইন এর মত তেতো হলেও তা গিলতে হচ্ছে। তারা যাঁতাকলে পিষ্ট হবে আর কতকাল কতদিন? অতি সম্প্রতি একজন গ্রাহক ফেসবুকে লিখেছেন বিদ্যুৎ মিটার টাকায় ক্রয় করি । তার পরেও পল্লীবিদ্যুৎ মাসে মাসে বিদ্যুৎ বিল এর সঙ্গে মিটার ভাড়া নিচ্ছে।
তিনি বলেন ক্রয় কৃত মিটার ভাড়া যখন নিচ্ছে তখন জমিতে পোতা খুঁটির ভাড়া বিলম্ব মাশুল সহ ক্ষতিগ্রস্থদের দিতে হবে ।এ তাদের ন্যায্য দাবী ৷ তার কথা শতভাগ যৌক্তিক বলে অধিকাংশই গ্রাহকরা সমর্থন করেছে ৷ তারা আক্ষেপ করে বলেছেন ৩০ /৩৫ ফুট উঁচু খুঁটিতে ১১০০০ ভোল্টে কভার বিহীন তার যুগ যুগ ধরে আছে । সঙ্গত কারণে ভুক্তভোগী গ্রাহক শ্রেণী বৃক্ষরোপণ, ঘরবাড়ি বা কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে পারেন না । বহু মানুষ বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন । কর-খাজনা পরিশোধের হাজার হাজার কোটি টাকার জমি অলস পড়ে আছে ।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেশে জনবসতি বাইরেও সড়কেরপাশে অনেক উচু করে তার নেওয়া হয়েছে । জনগণ সব খাতে শুধু দিয়েই আসছে বিনিময়ে কিছুই পাননা । আমাদের জমির তুলনায লোকসংখ্যা বেশি । বিদ্যুৎ আমাদের জীবনের অংশ । সবকিছু বিবেচনায় জনগণ আর যাতে বলির পাঁঠা না হয় অনতিবিলম্বে নিচু খুঁটি উন্মুক্ত তার সরিয়ে বিকল্পভাবে নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি গ্রাহক শ্রেণীর ।
#CBALO/আপন ইসলাম