নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
নৌকা বাইচ দেখতে গিয়ে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে প্রায় শতাধিক দর্শনার্থী নিয়ে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ফাহিমা (৭) নামের এক শিশুর মৃত দেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। নিহত ফাহিমা উপজেলার বারাপুষা গ্রামের ফারুক হোসেনের মেয়ে। এ সময় নৌকার অন্যান্য যাত্রীরা নিরাপদে ফিরলেও এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে কম পক্ষে ৭ যাত্রী। আহত হয়েছে ৬ জন। আহতদের নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধায় নাগরপুর সদর ইউনিয়নের পাইশানা বিলে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী কাঠুরী গ্রামের আমিনুর রহমান জানান, বুধবার বিকেলে পাইশানা বিলে এক নৌকা বাইচের আয়োজন করা হয়। বিকেল ৩টায় শুরু হওয়া নৌকা বাইচ দেখতে নাগরপুর উপজেলা সহ আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার উৎসুক জনতা রং বেরংগের বাহারি নৌকা নিয়ে ভীর জমায় পাইশানা বিলে। দৌলতপুর উপজেলার টুইটাম গ্রামের মোহাম্মদ আলীর শ্যালো ইঞ্জিন চালিত নৌকা ভাড়া নিয়ে কাঠুরী গ্রামের শিশু বাচ্চা সহ প্রায় শতাধিক দর্শনার্থী নৌকা বাইচ দেখতে যায়।
নৌকা বাইচ চলাকালীন ওই নৌকার ছাউনি (ছাদ) ভেঙ্গে যাত্রীসহ নৌকা ডুবে যায়। এ সময় মূহুর্তের মধ্যে নৌকা বাইচের আনন্দ ম্লান হয়ে যায়। আগত দর্শনার্থীর মধ্যে আতংক দেখা দেয়। লোকজন দ্বিকবিদ্বিক ছুটে নিরাপদ আশ্রয় নেয়। প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় জলিল মিয়া জানান, কাঠুরী গ্রাম থেকে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই একটি শ্যালো নৌকা পাইশানা বিলে নৌকা বাইচ দেখতে আসে। নৌকার ভিতর এবং ছাউনিতে গাদাগাদি করে বসে নৌকা বাইচ উপভোগ করছিল। হঠাৎ নৌকার ছাউনি ভেঙ্গে যাত্রীসহ নৌকাটি ডুবে যায়। সে সময় স্থানীয় অন্যান্য লোকজনের সহায়তায় সাত বছরের একটি শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। ডুবে যাওয়া যাত্রীরা সাঁতরিয়ে পাড়ে উঠলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছে সাত জন। তাদের উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে স্থানীয়রা।
সংবাদ পেয়ে নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম ঘটনাস্থল পৌছান। উদ্ধার তৎপরতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টাঙ্গাইল থেকে ফায়ার সার্ভিসের বিশেষ ডুবুরি দল পৌছার পর উদ্ধার কাজ শুরু হবে। রাত ৮টা ২০ মিনিটে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌছায়নি।