রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:২৩ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :

নানা অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত সলঙ্গা হাট 

নিজস্ব প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: রবিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৫, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ণ

যানজট,অবৈধ দখল, জলাবদ্ধতা,দুর্গন্ধসহ নানা অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত সিরাজগঞ্জের প্রাচীন ও বৃহত্তর রায়গঞ্জের সলঙ্গা হাট। হাটের প্রবেশপথ স্লুইস গেট ও মাদ্রাসা মোড় নতুন ব্রীজসহ গুরুত্বপুর্ণ স্থানগুলোয় সারা বছরই লেগে থাকে  যানজট।বিশেষ করে হাটের দিনগুলোয়  যানজটে হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।এদিকে বর্ষা মৌসুমে হালকা বৃষ্টি হলেই হাট ও এর আসেপাশে এলাকায় পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় বাধে জলাবদ্ধতা।এতে স্যাতঁস্যাঁতে কাদা-পানি আর দুর্গন্ধের কারনে ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাভাবিক বেচাকেনায়  ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। ঠিকমত বেচা-বিক্রি না করতে পারায় ক্ষু্ব্ধ হয়ে উঠেছেন ব্যবসায়ীরা।দুর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থা আর উন্নয়ন বিমুখতার কারনে সলঙ্গা হাটের এমন অবস্থা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে দেখা যায়,সপ্তাহের সোম ও বৃহ:বার বসে সলঙ্গা হাট।বর্জ্য ফেলার জায়গা না থাকা ও পানি নিস্কাশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা না থাকায় স্লু্ুইস গেটের নিচে নদীতে হাটের ময়লা- আবর্জনা ফেলা হয়।স্লুইস গেটে মুরগী পট্রি,মাছ পট্রিসহ অন্য স্থানের ময়লা- আবর্জনা জমে থাকায় বিকট দুর্গন্ধ তৈরি হচ্ছে।এতে হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে মাছ পট্রির নোংরা পানি ও মুরগীর বিষ্টার কারনে আসপাশের দোকানি ও বাড়ির মালিকদের টেকা দায়।বর্ষা মৌসুমে কিছুক্ষণ বৃষ্টি হলে কদমতলা তরকারী হাটাসহ হাটের বিভিন্ন জায়গায় হাঁটুসমান পানি জমে থাকে।পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এ অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে।আবার সপ্তাহের সোমবারে গরু হাটায়  কাদা জমে থাকে।সামান্য বৃষ্টি হলেই ডিমহাটা হতে  গুড়হাটা পর্যন্ত পানিতে একাকার হয়ে যায়।মাংশ পট্রি- জুতাহাটা হতে উত্তরে তরকারি হাটার পুরো পাকা রাস্তাটাই স্যাঁতস্যাঁতে কাদা পানিতে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।কাঁচামাল ব্যবসায়ী জুয়েল,হানিফসহ অন্যরা বলেন,  তরকারি হাটার রাস্তায়  স্যাঁতস্যাঁতে কাদা- পানিতে চলাচল করা দায়।বছরের পর বছর আমরা এভাবে কষ্ট ভোগ করছি।আবার কাদা-পানি থাকার কারনে বর্ষাকালে আমাদের ক্রেতা অনেকটাই কমে যায়।সলঙ্গা বণিক সমিতির নেতারা জানান,গরু- ছাগল ও বিভিন্ন পণ্য বিক্রির প্রাচীনতম হাট সলঙ্গা।প্রতি বছর সরকার রাজস্ব আয় করলেও হাটের উন্নয়নে তেমন কোন কার্যকর উদ্যোগ নেই। সলঙ্গা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও হাট ইজারাদার মতিয়ার রহমান সরকার বলেন,আমি হাট ইজারাদারের দায়িত্ব নেওয়ার পর হাটের দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনাগুলো ধাপে ধাপে সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ন কবির বলেন,সলঙ্গা হাটের বিভিন্ন সমস্যাগুলোর বিষয়ে অবগত হয়েছি।পর্যায়ক্রমে সমাধানের পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর