বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

নওগাঁর মান্দায় গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে চাষি ও খামারিরা

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: সোমবার, ১৭ আগস্ট, ২০২০, ১২:৩২ অপরাহ্ণ

রকিবুল ইসলাম, মান্দা,নওগাঁ প্রতিনিধি:

নওগাঁর মান্দায় অতি বৃষ্টি ও গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে খামারিরা। গো-খাদ্য হিসেবে ব্যাবহৃত খরের দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর খড়ের এ আকাশছোঁয়া দাম ভাবনায় ফেলেছে খামারিদের। অনেকে খামারি পশু খাদ্য কিনতে না পেরে গরু হাটে বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন। তাঁরা আরও জানান, প্রতি কাহন খড়(১৬ পন)খড় ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। যে খড়ের দাম গত বছর ছিলো প্রতি কাহন সর্বোচ্চ দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। জানা গেছে, উপজেলার সতিহাট, গণেশপুর, শ্রীরামপুর, মীরপুর, মৈনম, প্রসাদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য ছোট-বড় গরুর খামার। যে খামার গুলোতে রয়েছে দুগ্ধজাত গাভি সহ নানান জাতের গরু।

 

বিশেষ করে যুবকদের একটা অংশ খামার প্রকল্পের দিকে ঝুঁকছেন। কেউ গরুর মোটাতাজাকরণ আবার কেউ দুগ্ধজাত গরুর খামার করছেন। এছাড়া এই এলাকায় ধান চাষ আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। তাছাড়া ফলন ভালো না হওয়ায় খড়ের সংকট দেখা দেয়। মূলত খড় উৎপাদন হার যেমন কমেছে অপর দিকে ক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে। আর এতে করেই খড়ের দাম বাড়ছে হু-হু করে। গরু পালন করেন এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, একটি গরুর সারা বছরের শুকনা খাবারের জন্য খড়ের বিকল্প নেই। তিন বেলা নিয়ম করে অন্যান্য খাবার খাওয়ানোর পাশাপাশি খড় দিতে হয়। এছাড়াও তিন বেলা খাওয়ার বাইরে খড় ও কাঁচা ঘাস দিতে হয়।

 

ঘাসের তুলনায় খামারে খড়ের প্রয়োজনীয়তাই বেশি। আর এ কারণেই প্রত্যেক খামার বা সাধারণ গেরস্থদের কমপক্ষে এক বছরের জন্য খড় কিনে রাখতে হয়। খড়ের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খামারিদের পাশাপাশি বিপাকে পড়েছেন সাধারণ কৃষকেরাও। অনেকে আবার সংকটের কারণে নওগাঁসহ অন্যান্য জেলা থেকেও খড় কিনে এনেছেন বলেও তারা জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর