নাটোরের নলডাঙ্গায় সিএনজি চালিত থ্রি-হুইলার ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে খলিলুর রহমান (৬০) নামে একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা ও মুক্তাদির আলম (৪৫) নামে বিজিবির এক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন থ্রি-হুইলারের চালক ও অপর ৩ যাত্রি।
আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার নাটোর-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের বাসুদেবপুর সাজিপাড়া জামে মসজিদের পাশে এই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত খলিলুর রহমান নওগাঁর বাসিন্দা ও নওগাঁ সোনালী ব্যাংকের (অবসরপ্রাপ্ত) শাখা ব্যবস্থাপক ছিলেন এবং মুক্তাদির আলম মাগুড়া জেলার শ্রীপুর উপজেলার দরিগিলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নওগাঁ ব্যাটেলিয়ান-১৬ এ নায়েক পদে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া আহতদের মধ্যে রয়েছেন নিহত খলিলুর রহমানের স্ত্রী রিনা বেগম (৪৫)। তিনি নাটোর শহরের মল্লিকহাটি ঘোষপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে। তবে চালকসহ অপর দুই যাত্রির নাম পরিচয় জানাযায়নি।
নলডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনোয়ারুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নওগাঁর বাসিন্দা, সোনালী ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খলিলুর রহমান তার স্ত্রী রিনা বেগম এবং বিজিবি কর্মকর্তা মুক্তাদির আলমসহ ৫ জন যাত্রি বিকেলের দিকে সিএনজি চালিত থ্রি-হুইলার গাড়িতে করে নওগাঁ থেকে নাটোরের উদ্দেশ্যে আসছিলেন। পথে নাটোর-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের নলডাঙ্গা উপজেলার বাসুদেবপুর সাজিপাড়া এলাকায় পৌছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজি চালিত থ্রি-হুইলারটি দুমড়ে-মুচরে যায় এবং চালকসহ ৫ যাত্রী গুরুতর আহত হন।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মিরা আহতদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক খলিলুর রহমানকে মৃত ঘোষনা করেন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আহত বিজিবি কর্মকর্তা মুক্তাদির আলমও মারা যান। নিহত খলিলুর রহমানের স্ত্রী রিনা বেগম বর্তমানে নাটোর সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি আছেন। অপর দুই জন বাহিরের ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে থ্রি-হুইলার চালকের সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি।
ওসি বলেন, নওগাঁ বিজিবিতে কর্মরত মুক্তাদির আলম তার মায়ের মৃত্যুর কারণে ছুটি নিয়ে নিজ বাড়ি মাগুড়ায় যাওয়ার জন্য সিএনজিতে নাটোরে আসছিলেন এবং খলিলুর রহমান স্ত্রিকে নিয়ে নাটোর শহরের মল্লিকহাটি মহল্লায় তার শশুরবাড়িতে আসছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় ঘাতক ট্রাকটি আটক করা গেলেও ঘটনার সময় থেকে চালক-হেলার পলাতক রয়েছে। তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। নিহতদের মরদেহ নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। ময়নাতদন্ত শেষে তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে জানিয়েছেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।