বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫৯ অপরাহ্ন

ই-পেপার

সাঁথিয়ায় বয়স্ক ভাতা আর আশ্রয়ণের ঘর দিতে দরিদ্রদের কাছ নেওয়া হয়েছে অর্থ

শামীম আহমেদ, সাঁথিয়া(পাবনা):
আপডেট সময়: সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪, ৭:২৪ অপরাহ্ণ

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার রঘুরামপুর গ্রামের মৃত আহমদ আলীর ছেলে লালু ওরফে লালনের বিরুদ্ধে সরকারি বিভিন্ন ভাতা, সরকারি ঘর, গর্ভকালীন ভাতা ও সাবমাসেবুল পাম্প পাইয়ে দোবার কথা বলে বিভিন্নজনের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেবার অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগীদের তালিকায় রয়েছে ভিক্ষক, প্রতিবন্ধী, কাজের আয়া ও অসহায় পরিবার। এ বিষয়ে সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছে পাঁচ ভুক্তভোগী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রঘুরামপুর গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর স্ত্রী ভিক্ষুক সারেহা খাতুনের নিকট থেকে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেবার কথা বলে তিন হাজার টাকা নিয়েছে অভিযুক্ত লালু।
মাসের পর মাস চলে গেলেও সে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেয়নি। এমনকি ভিক্ষা করে যোগার করা তিন হাজার টাকাও ফেরত দেয়নি।একই গ্রামে আফসার আলীর স্ত্রী ছানু খাতুন।
সে অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবনযাপন করে। তাকে সরকারি ঘর দেবার কথা বলে ১৫ হাজার টাকা নিয়েছে ওই প্রতারক লালু।  টাকা ফেরত না দেওয়ায় সেও লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
একইভাবে উপজেলার পাগলা গ্রামের মৃত রোফাতের ছেলে দুলাল শেখের নিকট থেকে সরকারি ঘর দেবার কথা বলে ১২ হাজার টাকা, রঘুরামপুরের ইকাব্বর আলীর নিকট থেকে ৫ হাজার টাকা, পাগলাগ্রামের মাযা খাতুনের নিকট থেকে ঘরের কথা বলে ১০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে ফিরছে লালু।
রঘুরামপুর গ্রামের ছদর মৃধা জানান, তার পুত্রবধূর নামে গর্ভবর্তী ভাতা করার কথা বলে লালু ৬ হাজার টাকা নিয়েছে। আজ  বছর পার হলেও সে টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। কার্ডও করে দিচ্ছে না। টাকা চাইলে আমাদের হুমকি দেয়।
একই এলাকার সাহাদৎ ও বাবু জানান, লালু এলাকার ১৫/২০ জন অসহায় ব্যক্তির নিকট থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকা আত্মসাত করেছে। সে উপজেলার প্রভাবশালী নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে ভাতার কার্ড ও ঘর দেবার কথা বলে এ টাকা নিয়েছে।
অভিযুক্ত লালু ওরফে লালন জানায়, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক। ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুনসুর আলম পিন্চু জানান, এলাকার লোকজন আমার নিকট লালুর বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছিল। আমি তাদের উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট পাঠিয়েছি।
স্যারের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী পরিবারদের যথাযথ সহযোগিতা করা হবে। বর্তমানে ভাতাপ্রাপ্তিতে কোন অর্থ লেনদেনের সুযোগ নেই। অর্থ আত্মসাতকারীর বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর