পিছনের কয়েকটি পরিবারকে চলাচলের জন্য নিজেদের জমির ওপর দিয়ে রাস্তা দিয়েছিলেন দুইজন ব্যাক্তি। কিন্তু রাস্তা বড় করতে আরও জমি চান তারা। কিন্তু জমির মালিকরা দিতে অস্বীকার করলে তারা জোর করে রাস্তা নিতে তাদের জমিতে থাকা দুইটি টিনের ঘর ভাংচুর করে অভিযুক্ত পক্ষটি। এতে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে জমির মালিকদেরই দেওয়া হয় প্রাণ নাশের হুমকি।
এমনই অভিযোগ তুলে গতকাল (১৯ জুন) সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের মহিষামুড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মো. ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে ভুক্তভোগী মো. ইসমাইল হোসেন রঞ্জু।
এর আগে মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল ৬টার দিকে ভুক্তভোগীর বাড়ির সামনের জমিতে এ ঘটনা ঘটে। ওই ভাংচুরের সময়ের একটি ভিডিও এসে পৌঁছেছে এই প্রতিবেদকের হাতে।
ভুক্তভোগী ইসমাইল হোসেন রঞ্জু সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করেছেন, একই গ্রামের মৃত. আহাদ বক্সের ছেলে মো. আসাদুল হক, মো. মুকুল হোসেনের ছেলে মো. মাহমুদুল হক মামুন, মো. আসাদুল হকের ছেলে মো. আসিফ ও মো. আরিফুল ইসলাম অত্যন্ত উশৃংখল প্রকৃতির। তারা আমার ও আমার প্রতিবেশী মৃত. কোরবান আলীর ছেলে মো. কামাল পাশার জমির ওপর দিয়ে বড় করে রাস্তা বানাতে চায়। আমরা তাদেরকে চলাচলের জন্য ছোট রাস্তা দেওয়া সত্ত্বেও তারা অনেক বড় করে রাস্তার জায়গা চাইলে আমরা তাতে অসম্মতি জানাই। এতে তারা আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে গত মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল ৬টার দিকে তাদের আরও লোকজন নিয়ে আমার জমিতে থাকা আমার একটি টিনের ঘর ও কামাল পাশার জমিতে থাকা তার একটি টিনের ঘর ভেঙে আমাদের লাখ টাকার মতো ক্ষতি করে।
তিনি ডায়েরিতে আরও উল্লেখ করেন, উক্ত সময় আমি ও কামাল পাশা সেখানে এসে তাদের ভাংচুরে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা আমাদের সাথে উশৃংখল ও মারমুখী আচরণ করে ও বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি ও প্রান নাশের হুমকি দেয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় মো. শাহিন রেজার মেয়ে সাবিনা খাতুন বলেন, তাদের রাস্তা আগে থেকেই দেওয়া ছিল। সেখান দিয়েও লোকজন গাড়ি চলাচল করতো। কিন্তু তারা আরও বড় রাস্তা চায়। এর প্রেক্ষিতে সেদিন হঠাৎ করে ভাংচুরের শব্দ শুনে তাকিয়ে দেখি তারা অনেক কয়জন দা, শাবল, কুড়াল, হাতুর ও লাঠি নিয়ে এসে ঘরগুলো ভাংচুর করছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মো. মাহমুদুল হক মামুনের বাবা মো. মুকুল হোসেন বলেন, আমরা তাদের কাছে বার বার রাস্তা চেয়েছি। প্রয়োজনে টাকা দিতে বা জায়গা কিনেও নিতে চেয়েছি কিন্তু তারা দেননি। এছাড়াও গ্রামের মুরুব্বিরাও তাদের সঙ্গে কথা বলেছে, কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।
তাহলে কি একারণে ভাংচুর করা হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটা ছেলেপেলেরা করে ফেলেছে। আমরা নিষেধ করেছিলাম, তারা শোনেনি। কাজটা ভুল হয়েছে বলেও স্বীকার করেন তিনি।
এ ব্যাপারে রতনকান্দি বিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবু আহসান রাসেল বলেন, এঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।