বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:১৯ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

অবশেষে ফিটিং মামলায় ঝালকাঠির সেই তিন সাংবাদিক নির্দোষ প্রমাণিত

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০২০, ৭:১৬ অপরাহ্ণ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠিতে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে অপর সহকর্মীর প্রতিহিংসার শিকার তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাজানো ফিটিং মামলাটি অবশেষে তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। গত ২৪ জুলাই পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত চ‚ড়ান্ত রিপোর্টে এ তথ্য পাওয়া যায়।
মিথ্যা মামলার শিকার তিন সাংবাদিক জানান, তারা ঝালকাঠিতে দীর্ঘদিন যাবত সুনামের সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ও সম্প্রতি করোনাকালীন মহামারিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমাজে সচেতনতাসহ নানা কর্মকান্ড তুলে ধরেন। এতে সরকার বিরোধী দলের কতিপয় হিংসুটে সাংবাদিক ঈর্ষাণিত হয়ে বেশ কিছুদিন যাবত এ তিন সাংবাদিককে হয়রানী করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় ঐ মামলাবাজ চাটুকার চিহ্নিত সাংবাদিক নির্যাতনকারীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তিন সাংবাদিককে ফাঁসাতে গত ৩০ মার্চ জনৈক ব্যাক্তিকে দিয়ে ফোন করে ডেকে নিয়ে কতিপয় সন্ত্রাসীর সহযোগীতায় অতর্কিত হামলা করে এবং তিন সাংবাদিককেই শাররীক লাঞ্চিত করে। পরে ঐ মামলাবাজরা নিজেদের পিঠ বাঁচাতে স্থানীয় কামাল হোসেনকে ব্যবহার করে ঝালকাঠি সদর থানায় চাদাবাজির কাহিনী রটিয়ে অভিযোগ এনে বিএমএসএফ সদস্য দৈনিক আমাদের বরিশালের জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মো: বশির আহাম্মদ খলিফা, আলোকিত বাংলাদেশ ও মোহনা টেলিভিশনের মো: রুহুল আমীন রুবেল এবং বিএমএসএফ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক দৈনিক আজকের পরিবর্তনের জেলা প্রতিনিধি রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু’র নামে একটি মিথ্যা কাহিনী সাজিয়ে এবং মামলার বাদীকে ভুল বুঝিয়ে এজাহার দায়ের করানো হয়। এরপর শুরু হয় মামলার তদন্ত। ইতিমধ্যে মামলার বাদীও তার ভুল বুঝতে পেরে অনুশোচনা পড়েন। পরবর্তীতে স্থানীয়দের মাধ্যমে নিজেদের ভুল বোঝাবুঝির সমাপ্তি ঘটলেও ঘটনাটি যে, উদ্দেশ্যমূলকভাবে কতিপয় মামলাবাজ সহকর্মীরাই করিয়েছে তাহা প্রমানিত হয়।
অপরদিকে গত ৩১ মার্চ মামলা রুজুর পর থেকেই ঝালকাঠি পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ও সদর থানার ওসির নেতৃত্বে সঠিক তদন্তের নির্দেশ নিয়ে ঝালকাঠির থানার উপ পরিদর্শক মো: গাউছুল আযম দীর্ঘ তদন্তে মামলার বিষয়ে কোন সত্যতা না পেয়ে চ‚ড়ান্ত রিপোর্ট আদালতে দাখিল করেন। যাহাতে তিন সাংবাদিকই নিরাপরাধ প্রমাণিত হয়।
এ বিষয়ে বিএমএস সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু জানান, পেশাগত দায়িত্ব ও সংগঠন নিয়ে ঝালকাঠির অপর এক সাংবাদিক সংগঠনের সাথে আমাদের পেশাগত দ্ব›দ্ব থাকায় তাদের রোষানলে পড়ি। সেই সংগঠনের কয়েকজন চাটুকার মামলাবাজরা আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলাটি দায়ের করেছিল।যাহা পুলিশের সঠিক তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হই।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল এমএম মাহামুদ হাসান বলেন, আমরা সঠিকভাবে নিরপেক্ষ অবলম্বন করে তদন্ত করি তদন্তকালে তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের কোন সত্যতা না পেয়ে আমরা চুড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করি। উক্ত রিপোর্টে তিন সাংবাদিকই নিরাপদ প্রমানিত হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর