ভাষা-শহীদদের স্মরণে বাংলা একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা ২০২৪ এ প্রকাশ হয়েছে নাটোরের সিংড়ার তরুণ লেখক মোহাম্মদ অংকন’র নতুন ৪টি বই। মেলার প্রথম দিন থেকে বইগুলো প্রকাশনীর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।
তথ্যানুযায়ী, ‘ভালোবেসে দুঃখ ছুঁয়েছি’ শিরোনামে রোমান্টিক কাব্যগ্রন্থ বের হয়েছে লেখাচিত্র প্রকাশনী থেকে। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন শফিক মামুন। ২২০ টাকা মলাটমূল্যে বইটি ৫৫৫নং স্টলে পাওয়া যাচ্ছে। ‘গুল্টু ও ছোটাভূত’ শিরোনামে শিশুতোষ গল্পগ্রন্থ বের হয়েছে এ.এইচ প্রকাশনী থেকে। এটিরও প্রচ্ছদ করেছেন শফিক মামুন ও অলংকরণ করেছেন প্রীতিলতা চক্রবর্তী। ১৫০ টাকা মলাটমূল্যের বইটি ১৪৫নং স্টলে পাওয়া যাচ্ছে। ‘গুল্টু গোয়েন্দা’ শিরোনামে কিশোর গোয়েন্দা উপন্যাস বের হয়েছে রৌদ্রছায়া প্রকাশনী থেকে। এটিরও প্রচ্ছদ করেছেন শফিক মামুন ও অলংকরণ করেছেন শাহ্ আলম। ২৫০ টাকা মলাটমূল্যের বইটি ৫৫৫নং স্টলে পাওয়া যাচ্ছে। ‘চার কিশোরের অভিযান’ শিরোনামে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিশু-কিশোর গল্প বের হয়েছে শব্দকথা প্রকাশন থেকে। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন দেবাশীষ আচার্য্য। ২০০ টাকা মলাটমূল্যের বইটি ৪০৫নং স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়াও ‘অ্যা কমপ্লিট রুটিন অব অ্যা চাইল্ড’ শিরোনামে বাংলা ও ইংরেজিতে লেখা বই দুটো লেখাচিত্র প্রকাশনী থেকে দ্বিতীয় মুদ্রণে বের হয়েছে। বই দুটি ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ’র স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।
নতুন বই প্রকাশের বিষয়ে তরুণ লেখক মোহাম্মদ অংকন জানান, ‘প্রতি বইমেলায় আমার একাধিক বই প্রকাশ হয়। সেই ধারাবাহিকতা এবারও বজায় আছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র পাঠকের ভালোবাসা ও সমর্থন পাওয়ার কারণে। পাঠকমহল আমার নতুন বইগুলো বরাবরের মতো সাদরে গ্রহণ করবে বলে প্রত্যাশা করছি। সেইসাথে আমার বইয়ের প্রকাশকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যে তারা আমার প্রতি ভরসা রেখেছেন।’
উল্লেখ, এবারের বইমেলায় নতুন ৪টি বইসহ মোহাম্মদ অংকন’র প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা দাঁড়ালো ২১। এছাড়াও লেখকের বেশ কিছু প্রকাশযোগ্য পা-ুলিপি আছে বলে লেখক জানান।
মোহাম্মদ অংকন বর্তমান লেখকদের মধ্যে পরিচিত মুখ। তিনি নাটোরের চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র হওয়ার পরও লেখালেখির সূত্রে ঝুঁকে পড়েন সাংবাদিকতায়। দৈনিক মানবকণ্ঠে সাব-এডিটর হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে সরকারি চাকরি হওয়ায় সাংবাদিকতা ছেড়ে দেন। বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের সর্ববৃহৎ ইউনিট ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)’র কম্পিউটার বিভাগে কর্মরত আছেন।