নাটোরের বাগাতিপাড়ায় আখ চুরির প্রতিবেদন করতে গিয়ে দৈনিক ইত্তেফাক ও প্রতিদিনের বাংলাদেশের দুই সাংবাদিক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে ইত্তেফাকের সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম তপু বাদী হয়ে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রওশন আলমের আদালতে ৭ জনসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ কে আসামী করে এ মামলা রুজু করেন। ভুক্তভোগী আরেক সাংবাদিক প্রতিদিনের বাংলাদেশের উপজেলা প্রতিবেদক খাদেমুল ইসলাম। মামলা সুত্রে জানা গেছে, নাটোর সুগার মিলস্ লি. এর অধীনস্থ আরাজি মাড়িয়া আখ ক্রয় কেন্দ্রে প্রভাত খাটিয়ে ওই কেন্দ্রের মৌসুমী আখ ক্রয় করণিক এ.এস.এম আল-আফতাব খান সুইট (৪২) দীর্ঘদিন থেকে তার অন্যান্য (সকল আসামী) সহযোগীদের নিয়ে আখচাষীদের বোকা বানিয়ে বিল ও ওজনে কারচুপি করতেন। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার মিলস্ কতৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। সম্প্রতি ফারুক হোসেন নামের এক আখচাষী এনিয়ে অভিযোগ করে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে গত ১০ জানুয়ারি দুপুর দেড়টার দিকে সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহের জন্য ওই আখ ক্রয় কেন্দ্রে গেলে মৌসুমী আখ ক্রয় করণিক সুইটসহ তার সহযোগীরা সাংবাদিকদের ওপরে অতর্কিত হামলা করে সাংবাদিকতার কাজে ব্যবহৃত ক্যামেরা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। ওই মূহুর্তে প্রাণে বাঁচতে দূত ওই স্থান ত্যাগ করতে লাগলে আখ ক্রয় কেন্দ্রের রাস্তার ওপরে আসামীরা এসে আবারও সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল রোধ করে রাখে। পরে স্থানীয়রা এসে তাদের উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবি বুলবুল আহম্মেদ জুয়েল বলেন, ১নং আসামী সুইট অন্যান্য আসামীদের সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ আখ চাষীদের ফাঁকি দিয়ে ওজনে কারচুপি করত, সাংবাদিকরা তা তুলে ধরার চেষ্টা করলে আসামীরা সাংবাদিকদের আঘাত করে ক্যামেরা ও মোবাইল কেড়ে নিয়ে লাঞ্ছিত করে। বিষয়টি আমলে নিয়ে বিজ্ঞ আদালত বাগাতিপাড়া পৌর মেয়রকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেছেন।