স্মৃতির পাতায় আজও অমলিন
শৈশব কৈশোরের মধুময় সোনালী দিন।
স্কুল শেষে ঘরে ফিরে কাঁধ থেকে
স্কুলব্যাগ নামিয়ে মনে হতো বেঁচে গেছি!
তারপর মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে
এক দৌড়ে খেলার মাঠে
কতো রকম খেলায় মেতেছি !
এক্কা দোক্কা,ইচিং বিচিং, গোস্তচুরি, গোল্লাছুট,
মহা আনন্দে কেটেছে হাজারো মিষ্টি বিকেল;
নোনা বদন, টিপু–
খেলার দিনগুলোও খুব মনে পড়ে
মনে পড়ে
প্রিয় বন্ধুদের নাম, তাদের নিষ্পাপ মুখগুলো
মনের মাঝে স্মৃতির বিচরণ অনুক্ষণ।
শৈশব কৈশোরের বন্ধুরা তোরা সব কে কোথায়?
কেমন আছিস? অনেকের খবরও জানিনা !
অথচ একটা বিকেলও তোদের ছাড়া চলতো না
তোদের কি মনে পড়ে আমাকে?
সেইযে, এই আমি–
কখনো চঞ্চল, কখনো চুপচাপ শান্ত, অবুঝ বালিকা!
তোদেরও কি মনে পড়ে
আমাদের সেই দূরন্ত শৈশব, কৈশোর,
মান অভিমান, ছোট ছোট আনন্দ।
ঝড় বৃষ্টি হলেই পড়ে যেতো আম কুড়োবার ধূম
কে শোনে মায়ের গালমন্দ, চোখ রাঙানি
ঝড় বৃষ্টি মাথায় নিয়ে
আম কুড়োতে জড়ো হতাম আমতলায়
যেনো কেউ আম খাইনি কোনদিন !
তোদেরকি সেই ছড়াটা মনে আছে —
“ঝড়ের দিনে মামার দেশে
আম কুড়াতে সুখ… “
ঘাসফড়িং আর রঙিন প্রজাপতির পিছনে ছুটে ছুটে
কেটেছে অসংখ্য বিকেল
সময়ের স্রোতে ব্যস্ত জীবনে
কখনো কখনো আবছায়া হয়
সেইসব আনন্দমুখর স্মৃতি;
তবুও বার বার ফিরে যাই
আমাদের শৈশব কৈশোরের রঙিন দিনগুলোয়।