খেতে পায়না পরতে পায়না
থাকে উপবাস
লেখা পড়া পারে না করতে
অভাব বার মাস।
মা বাবাকে নিয়ে ছামিলী
ভিক্ষা করে খায়।
পরনে তার শতেক তালি,
শতেক ছেঁড়া বাস।
সবাই তাকে দেখে শুধুই করে উপহাস।
রুপে গুণে নয় যে সে, গায়ের রঙটি চাপা
গগন থেকে কালো মেঘে দিয়েছে যেন ঢাকা।
ছামিলীর বাবা গেল মরে
মাকে নিয়ে ছামিলী এখন কি যে করে!
মায়ের সারা বছর অসুখ, পায়না একটু সুখ।
ঔষধ খেতে পারে না সে, হাতে নাই খড়ি।
মাঝে মাঝে মনে হয়, গলায় দেয় দড়ি।
আত্মহত্যার মহা পাপ, কিভাবে কি করি।
ছামিলীকে বিয়ে দিল, সতীন ছিল ঘরে।
মা বলে- ‘ছামিলীকে নিয়ে গেল পরে।
হায়! হায়! হায়!
আমার হবে কি উপায়??’
দু-তিন বছর পরে
ছামিলী ফিরে এল ঘরে।
স্বামীর ঘরে হয়নি ঠাই
সতীন এর উপরে।
ছেলে একটি কোলে,
মা বলে – ‘ হায়! হায়! হায়!
আমার হবে কি উপায়??’