পাবনার ভাঙ্গুড়া থেকে অসাধু কিছু ব্যবসায়ী দুধের সঙ্গে পানিসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ মিশিয়ে বাজারজাত করছে। সোমবার উপজেলা ভবানীপুর গ্রাম থেকে বগুড়ার এক ব্যবসায়ী অর্ধেক পানি মিশিয়ে দুধ নিয়ে যায়। এ সময় বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দারা উপজেলা প্রশাসনকে জানানোর জন্য একাধিকবার মোবাইলে কল করেও পায়নি।
জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ছোট-বড় সহস্রাধিক দুগ্ধ খামার রয়েছে অধিকাংশ কৃষকের। তবে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভবানীপুর সহ কয়েকটি গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে দুধ উৎপাদন হয়। এসব কৃষকদের দুধ সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠায় উপজেলায় প্রায় অর্থ শতাধিক প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান।
এবছর অসাধু কিছু ব্যবসায়ী ১০০ লিটার দুধের ড্রামের মধ্যে আগে থেকেই অর্ধেক পানির সমপরিমান বরফ রেখে দেয়। দুধ রাখার পরে এসব বরফ বলে মিশে যায়। অনেক সময় দুধের ঘনত্ব ধরে রাখতে অসাধু ব্যবসায়ীরা কস্টিক সোডাও ব্যবহার করে।
এদিকে রবিবার সরজমিনে ভবানীপুর গ্রামে দেখা যায়, বগুড়া থেকে কিতাবা আলী নামে এক দুগ্ধ ব্যবসায়ী বরফ দুধের ড্রামে রেখে দিচ্ছে। কিছুক্ষণ পর সেই ড্রামে দুধ রাখছে। এদিন ওই ব্যবসায়ী একটি ট্রাকে দশটি ড্রামে অর্ধেক পানি মেশানো বিপুল পরিমাণে দুধ বগুড়াতে নিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটে। গত রবিবার এমন ঘটনার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মোবাইল নাম্বারে কল করেও পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন খামারি বলেন, কৃষকরা খাটি দুধ ম্যানেজারদেরকে দেয়। কিন্তু ম্যানেজাররা সেই দুধে ভেজাল মিশিয়ে কয়েকগুণ বাড়িয়ে কোম্পানি অথবা ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা এসব বিষয় জেনেও কোন শক্ত ব্যবস্থা নেয় না।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশিদুল ইসলাম বলেন, দুধে ভেজাল মেশানোর বিষয়টি দেখবে উপজেলা প্রশাসন। তাই অভিযোগকারীদেরকে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করতে বলি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।