পাবনার ভাঙ্গুড়ায় শিশু খাদ্য গাভীর দুধে কস্টিক সোডা,চিনি মেশানোর অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি দুধে মেশানোর অবশিষ্ঠ কস্টিক দেড় বস্তা সোডা ও ১৯ বস্তা চিনিও দুগ্ধ শিতলীকরণ কেন্দ্র থেকে উদ্ধার করাা হয়েছে। উপজেলার ভাবানী পুর গ্রামের আপন এন্টার প্রাইজের প্রতিষ্ঠান প্রাণ দুধ সংগ্রহ ও শীতলীকরণ এজেন্ট শাখার বিরুদ্ধে শিশু খাদ্য গাভীর দুধে মেশানো হচ্ছে কস্টিং সোডা, চিনি ও মিশিয়ে তা প্রাণ কোম্পানিকে দেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগের পর বুধবার সকালের দিকে ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে তার সত্যতা পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান এই জরিমানার আদেশ দেন। ওই সেন্টার থেকে প্রতিদিন প্রাণ কোম্পানিকে কয়েক হাজার লিটার দুধ সরবরাহ করে থাকেন।
জানা গেছে,উপজেলার ভাবানীপুর গ্রামের ভাঙ্গুড়া স্টেশন টু ভবানীপুর হয়ে ফরিদপুর রাস্তার পাশে ভবানী পুর গ্রামের শামীমের বাড়িতে আপন এন্টার প্রাইজ নামের একটি দগ্ধ শিতলীকরণ সেন্টার রয়েছে। যার মালিক পক্ষ ওই এলাকার বাড়ির মালিক শামীম । অপর দুইজন হল ভাবানীপুর গ্রামের সিদ্দিক ও রাজশাহী পুঠিয়া এলাকার মাসুদ। মাসুদ পূর্বে ভাঙ্গুড়া এলাকায় প্রাণ দুগ্ধ শীতলীকরণ বিভাগে চাকুরী করতেন। চাকুরীর সুবাদে তাদের সাথে পরিচয়। তবে প্রাণ কোম্পানীতে চাকুরীরত অবস্থায় অনিয়ম করায় বহুদিন পূর্বেই চাকুরী চলে যায় । সেই অভিজ্ঞাতে পুজি করে ভবানীপুর গ্রামের অপর দুজনের সাথে যোগসাজশে আপন এন্টারপ্রাইজ নামের দুগ্ধ শীতলীকরণ সেন্টার খুলে দীর্ঘদিন ধরে প্রাণ কোম্পানীতে প্রতিদিন হাজার হাজার লিটার দুধ সরবারাহ করে আসছেন। দুধে ফ্যাট বৃদ্ধি করতেই দুধের মধ্যে ওই উপকরণ গুলি কৌশলে মিশিয়ে দেওয়া হত।
শিশু খাদ্য গাভীর দুধে মেশানো হচ্ছে কস্টিক সোডা , চিনি , মেশানো হচ্ছে গোপন এমন খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাহিদ খান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ঘটনার সত্যতা পান । এ সময় শিশু খাদ্যে ভেজাল মিশ্রণের অপরাধে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। পাশাপাশি আপন এন্টারপ্রাইজ নামের ওই দুগ্ধ শিতলীকরণ সেন্টারে প্রায় অব্যবহৃত প্রায় দেড় বস্তা কস্টিং সোডা জব্দ করে ধ্বংসের আদেশ দেন। অপরদিকে ১৯ বস্তা চিনি ওই খান থেকে সরিয়ে নেওয়া নেওয়ার পরামর্শ দেন। আগামীতে এধরণের কাজ না করার নির্দেশ দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রাণি সম্পদের অফিসার ডাঃ আশরাফুল ইসলাম, সেনেটারী ইন্সেপেক্টার মো. নুরুল ইসলাম, ভাঙ্গুড়া থানার এএসআই আনোয়ার হোসেন।
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান জানান,ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯এর ৪২ ধারা মোতাবেক অভিযুক্তকে ৫০ হাজার টাকা জারিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে দেড় বস্তা কস্টিক সোডা ধ্বংসের আদেশ ও চিনি গুলি অন্যত্রে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।