শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫৯ অপরাহ্ন

ই-পেপার

অভয়নগরে ভূয়া ভন্ড কবিরাজের ছড়াছড়ি

মোঃ কামাল হোসেন, অভয়নগর প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০২৩, ৬:৩২ অপরাহ্ণ

যশোরের অভয়নগর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ভূয়া ও ভন্ড কবিরাজের ছড়াছড়িতে পরিনত হয়েছে। উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে। এই সব ভন্ড কবিরাজের খপ্পরে পড়ে অনেকে সর্বশান্ত হয়েছে। ঐ সব ভন্ড নামধারী কবিরাজগণ এখন আর এক স্থানে বসে ভণ্ডামি কবিরাজি করেনা। তারা বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি ও গ্রামসহ নওয়াপাড়া বাজার, স্টেশন এলাকা, নূরবাগ, স্টেশনের প্লাটফর্মে বসে বিভিন্ন পেশার মানুষদের কৌশলে কবিরাজির দোহায় দিয়ে রিতিমত প্রকাশ্য মানুষের সাথে করে চলেছে প্রতারণা। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই সব কবিরাজের কাজ হলো বউ চলে গেছে, প্রেমে ব্যর্থতা, বন্ধানারী, স্বামী স্ত্রী অমিল, সংসারে অশান্তিসহ নানা রকমের ভণ্ডামি করে সাধারণ মানুষদের ঠকিয়ে টাকা হাতানোয় এসব কবিরাজদের কাজ। ধোপাদী গ্রামের করিম জানান, আমার বউ চলে গেছে আমি নওয়াপাড়া স্টেশনে প্লাটফর্মে বসে ছিলাম হঠাৎ আমার কাছে একজন এসে বলেছে তোমার মন খারাপ কেন। আমি স্বরল মনে বলি বেশ কয়দিন বউ বাপের বাড়ি সে আসবেনা। ওই লোকটি আমাকে জানালো আমার কাছে এমন একজন লোক আছে সে আগামী কালই আপনার বউ এনে দিতে পারে। আমি খুসি হলাম ওই লোক চশমা চোখে বৃদ্ধ একজনকে ডেকে আনলো আমাকে গ্যারান্টি দিলো আর বললো বউ এনে দিতে ১১হাজা ১০ টাকা লাগবে আমি রাজি হয়ে গেলাম বাড়ি গিয়ে ছাগল বিক্রি করে টাকা এনে ওই ভন্ড পীর বা কবিরাজের হাতে টাকা দিয়ে বউ তো ফিরে আসেই নি আর ওই ভন্ড কবিরাজের দেখাও পাচ্ছি না। এমন হাজার অভিযোগ ওই সব নামধারী ভন্ড কবিরাজারেরা, ওই সব কবিরাজদের ভন্ডামি অবৈধ কবিরাজদের দেখা যায় নওয়াপাড়া রেল স্টেশন প্লাটফর্ম ও নূরবাগ বিভিন্ন চা দোকানে বসে বিভিন্ন অপরিচিত ব্যক্তিদের কাজ থেকে  বিভিন্ন কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ফলে প্রকাশ্য অসহায় সাধারণ ভুক্তভোগী মানুষ প্রতিদিন হচ্ছে প্রতারণার শিকার। এমন ভন্ড কবিরাজ একজনকে প্রশ্ন করি আপনি এগুলো করেন কেন সে জানান, আমি একা কবিরাজি করিনা আমি তো ছোট কবিরাজ কেউ যদি আসে আমার কাছে আমি শুধু ঝাড়ফুঁক ও তেলপড়া দিয়ে মানুষদের উপকার করি, আমার থেকে বহু বড়ো বড়ো কবিরাজ ঘুরে বেড়ায় এই এলাকা দিয়ে তাদের ধরেন। এমন ভন্ড কবিরাজ  প্রায় শতাধিক এই এলাকায় আছে ঘুরে বেড়ায় বলে ওই নামধারী কবিরাজ বলেন। সচেতন মহল মনে করে দ্রুত ওই সব ভন্ড কবিরাজদের ভন্ডামি করা বন্ধ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর ভূমিকা পালনের মাধ্যমে ভন্ড কবিরাজদের আটকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে ওই সব ভন্ড কবিরাজেরা সব ভান্ডারী মুরিদ, ও আট রশির মুরিদ পরিচয় দিয়ে থাকেন। এবিষয়ে অভয়নগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) একেএম শামীম হাসান বলেন এরকম কবিরাজ সম্পর্কে কেউ কোনও অভিযোগ করেনি কেউ যদি অভিযোগ করে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর