আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ খুন হওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার টেরেস ডেভোন হাসপিলের নানা ঘটনা একে একে সামনে আসছে। এবার জানা গেল, ফাহিমকে খুন করে পার্টি করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তার ব্যক্তিগত সহকারী হাসপিল।
শনিবার প্রকাশিত একটি ভিডিওতেও তেমন কিছুরই প্রমাণ মিলেছে। এতে দেখা যায়, ফাহিমকে খুন করার দুদিনের মাথায় হাসপিলকে একজন রহস্যময় তরুণীর সঙ্গে সময় কাটাতে দেখা গেছে। শপিং করার পাশাপাশি জন্মদিনের বেলুন কিনতে দেখা গেছে।
নিউইয়র্ক পুলিশ জানিয়েছে, টি-শার্ট পরা হাসপিলের বাম পাশে সমান তালে হাঁটছেন ওই তরুণী। তার পরনে কালো পোশাক। ডেভন যে বেলুন কিনেছেন সেটি ছিল ২২ লেখা। অর্থাৎ তার ২২তম জন্মদিনের পার্টি উদযাপনের প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন হাসপিল।
যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে কোনো অপরাধী গ্রেফতার হলে সঙ্গে সঙ্গে তার বিস্তারিত পরিচয় জানানো হয় না। হাসপিলের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম অনেকটা বজায় রাখছেন পুলিশ সদস্যরা।
এরপরও বেশ কিছু তথ্য সামনে এসেছে। হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত টেরেস ডেভোন হাসপিল নিজেকে ‘উদ্যোক্তা’ হিসেবে পরিচয় দিতেন। তিনিও যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে থাকতেন। এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তা থেকে বোঝা যাচ্ছে ২১ বছর বয়সী হাসপিল রীতিমতো প্রতারক চরিত্রের ছেলে।
একটি প্রতিযোগিতা থেকেই মূলত ফাহিমের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পান টেরেস। ২০০৯ সালে প্র্যাঙ্ক ডায়াল নামের একটি মজার ওয়েবসাইট তৈরি করেন ফাহিম। সেই ওয়েবসাইটে কাজ করার জন্য ওয়েব ডিজাইনের প্রতিযোগিতায় টিকে যাওয়া হাসপিলকে নিয়োগ দেন ফাহিম। সেখান থেকেই মূলত তাদের পরিচয়। এরপর ফাহিমের অ্যাডভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানিতে চিফ অব স্টাফ হিসেবেও যোগ দেন। এর পাশাপাশি ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করছিলেন।
টেরেসের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে তেমন কোনো তথ্য না পাওয়া গেলেও নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসপিল লং আইসল্যান্ড হাইস্কুল থেকে গ্রাজুয়েশন করেছেন। তবে ডেইলি নিউজের একটি প্রতিবেদনে আবার বলা হয়েছে, এই গ্রাজুয়েশন শেষ করতে পারেননি টেরেস।