দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে সমলিঙ্গ বিয়ের বৈধতা দিল থাইল্যান্ড। বুধবার (২৭ মার্চ) দেশটির পার্লামেন্টের নিম্মকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে সমলিঙ্গ বিয়ের বিলটি পাস হয়।
যদিও বিলটি আইনে পরিণত হতে এখনও উচ্চকক্ষ সেনেটে অনুমোদন এবং তারপর সেটিতে রাজকীয় অনুমোদনের প্রয়োজন পড়বে।
তবে প্রত্যাশা করা হচ্ছে, এ বছরের শেষ নাগাদই প্রয়োজনীয় অনুমোদন পাওয়ার মধ্য দিয়ে আইনটি পাস হয়ে যাবে।
বিবিসি জানায়, বুধবার থাইল্যান্ডের প্রতিনিধি পরিষদে ৪১৫ জন আইনপ্রণেতা উপস্থিতি ছিলেন এবং বিলটির পক্ষে ৪০০ ভোট পড়ে। ওই বিলে বিবাহকে একজন নারী ও একজন পুরুষের মধ্যে বন্ধনের পরিবর্তে দুইজন মানুষের মধ্যে বন্ধন বলে বর্ণনা করা হয়।
বিলে আরো বলা হয়, নারী ও পুরুষের মত এলজিবিটিকিউ প্লাস জুটিদের বিবাহ সংক্রান্ত কর রেয়াতে সমান অধিকার, তারা সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হতে এবং অক্ষম অংশীদারদের জন্য চিকিৎসার সম্মতি দিতে পারবে।
থাইল্যান্ডে অবশ্য আগে থেকেই লিঙ্গ পরিচয় এবং যৌন অভিমুখতার উপর ভিত্তি করে বৈষম্য আইনত নিষিদ্ধ। যে কারণে দেশটি এলজিবিটিকিউ প্লাসদের কাছে অন্যতম বন্ধুসুলভ দেশ বলে পরিচিত। সেখানকার সমাজ ব্যবস্থাও সমলিঙ্গ জুটিতে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে। তারপরও সমলিঙ্গ জুটিতে বিয়ে আইনত বৈধতা দিতে দেশটি অনেক সময় নিয়ে নিয়েছে।
এর আগেও থাইল্যান্ডে সমলিঙ্গ জুটিতে বিয়ে আইনত বৈধতা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রত্যেকবারই সেসব উদ্যোগ ব্যর্থ হয়।