ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মুশুলী ইউনিয়নের চপই দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা হারুন অর রশিদ (হারুন মিয়া) কে কথিত একটি মারামারি ঘটনায় ১নং আসামী করে অহেতুল হয়রানী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুশুলী ইউনিয়নের লতিবপুর গ্রামের মৃত দৌলত আলীর পুত্র মো. আবু তাহের নান্দাইল মডেল থানায় গত ৩রা জানুয়ারি সুপার হারুন মিয়া সহ ১১জনের নামে একটি মারামারির মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় সুপার হারুন মিয়া ধারালো রামদা দিয়া খুন করার উদ্দেশ্য জুয়েল মিয়ার মাথায় আঘাত করার অভিযোগ আনায়ন করা হয়।
অথচ মারামারির ঘটনার দিন সুপার হারুন নান্দাইল উপজেলা সদরে বীরমুক্তিযোদ্ধা মাজহারুল হক ফকিরের বাড়ির পাশ্বে বীরমুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমানের সরকারী মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি উদ্ভোধনী মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন। উক্ত মিলাদ মাহফিলে বীরমুক্তিযোদ্ধা মাজহারুল হক ফকির, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মাহমুদুল সৌরভ সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অথচ উক্ত মামলায় তাকে ফাঁসানোর জন্য ১নং আসামী করা হয়।
বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি, ছাত্র/শিক্ষকগন তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে উক্ত মামলা থেকে সুপারকে অব্যাহতি প্রদানের জোরদাবী জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, উক্ত মামলার বাদী আবু তাহের গং পূর্ব শক্রতা বসত চকমতি দাখিল মাদ্রাসার কর্মরত সুপারের নামে সম্পূর্ন হয়রানি করার জন্য মামলা দায়ের করেন। নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, মামলার এজাহারে শুধু হারুন মিয়া উল্লেখ রয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হলে মামলার দায় থেকে তাকে অব্যাহতি প্রদান করা হবে।