আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
নিউইয়র্কের নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান পাঠাও’য়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহের ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি ইলেকট্রিক করাত জব্দ করা হয়েছে।
নিউইয়র্ক পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলেই শরীরের বিচ্ছিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে হাত-পা বিহীন ধড়, বিচ্ছিন্ন মাথা, হাত এবং দুই পা পাওয়া গেছে। পাশে একটি ব্যাগও ছিল। এখনো ব্যাগটি খুলে দেখা হয়নি। আমরা এখনো এই হত্যাকাণ্ডের কোনো উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারণা করতে পারছি না।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, গোয়েন্দা সংস্থা ঘটনাস্থলের ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং মরদেহের ফরেনসিক টেস্ট রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে।
এছাড়া লিফটের একটি সার্ভিলেন্স ক্যামেরায় ফাহিমের গতিবিধির কিছু ফুটেজ পাওয়া গেছে। তাতে সবশেষ সোমবার তাকে লিফটের ভেতর দেখা গেছে। স্যুট, গ্লভস, হ্যাট এবং মাস্ক পরিহিত একটি লোককে ওই সময় তাকে অনুসরণ করতে দেখা যাচ্ছে।
পুলিশের ধারণা, ফাহিম লিফট থেকে বের হওয়ার পরপরই তাকে গুলি করা হয়েছে অথবা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া হয়েছে। অপরাধীর কাছে একটি স্যুটকেসও ছিল। সে খুবই পেশাদার খুনি বলেই ধারণা করছে পুলিশ।
ফাহিম যে ভবনে থাকতেন সেটি খুব সম্প্রতি নির্মিত একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবন। ভবনের পর্দা নামানো ছিল।
প্রায় বিশ কোটি টাকা দিয়ে গত বছর নিউইয়র্কে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টটি কিনেছিলেন ৩৩ বছর বয়সী ফাহিম। পাঠাওয়ের মতো তিনি নাইজেরিয়ায় আরো একটি মোটর বাইক শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান চালু করেছিলেন। সে প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদে ছিলেন ফাহিম সালেহ।