রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৩ অপরাহ্ন

ই-পেপার

ভাঙ্গুড়ায় কর্মগুণে প্রশংসিত ইউএনও মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান

চলনবিলের আলো ডেস্ক:
আপডেট সময়: শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৪:২৩ অপরাহ্ণ

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খানের দক্ষতায় প্রতিনিয়ত পাল্টে যাচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের চিত্র। ২০২১ সালের ২৯ নভেম্বর ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন তিনি।

১০ মাসের ব্যবধানে ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদকে নতুনভাবে ঢেলে সাজিয়েছেন বর্তমান এই কর্মকর্তা। অবকাঠামো উন্নয়নসহ সার্বিক কর্মকাণ্ডে ফিরে এসেছে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা। জনসেবার মানও বেড়েছে। প্রশাসনিক কাঠামো হয়েছে অত্যন্ত শক্তিশালী।

উপজেলা পর্যায়ের কমকর্তা ও বাসিন্দারা জানান, ইউএনও মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান তার ওপর অর্পিত সরকারি দায়িত্বের চেয়েও বেশি দায়িত্ব নিয়েই এই উপজেলাবাসীর পাশে আছেন। নির্যাতিত নিপীড়িত অসহায় মানুষের পাশে থাকতে তিনি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন বলেও মনে করছেন উপজেলাবাসী। তিনি যোগদানের পর থেকে এ পর্যন্ত উপজেলার সাধারণ মানুষের কল্যাণার্থে ও উপজেলার সার্বিক উন্নয়ণে প্রত্যক্ষ উপস্থিতির স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি যে কোনো পর্যায়ে সেবা নিতে আসা মানুষদের অতি দ্রুত এবং ভোগান্তি ছাড়াই সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে বিদ্যালয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সাথে মত বিনিময়, শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিদ্যালয় চত্বরে বৃক্ষরোপণ করেছেন। শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব পরিদর্শন করে সেটাকে যথাযথ ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। আইন শৃঙ্খলা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশপাশের বখাটের উৎপাত বন্ধে এরই মধ্যে দুইজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে শাস্তিও প্রদান করেছেন। জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন হালনাগাদ করণ, সংশোধনী, ভিশন-২০৪১, এসডিজি বাস্তবায়নসহ, বিভিন্ন কাজে গবীর অসহায়দের দ্রুত প্রশাসনিক সেবা ও সহায়তা প্রদান, পরিষদ চত্বরে গণপাঠাগার স্থাপন, দুঃস্থ্য অসহায়দের চিকিৎসায় অর্থ প্রদান, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণে স্থান নির্বাচন ও সঠিকভাবে তদারকি, সুশীল সমাজদের ব্যক্তিদের নিয়ে ক্লাব গঠন করে যেখানে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে আলোচনায় নিয়ে এসে তার সমাধানে পরামর্শ দেওয়াসহ যেখানেই সমস্যা সেখানেই ছুটে চলছেন তিনি।

উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণ তার এই ছুটে চলাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এছারাও বর্তমানে জনপ্রতিনিধিদের কর্মকাণ্ডে বেড়েছে স্বচ্ছতা, গতিশীলতা ও জবাবদিহিতা। দীর্ঘদিনের অনিয়ম ও দুর্নীতির বেড়াজাল ছিন্ন করে উপজেলা পরিষদকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

সম্প্রতি উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের বেতুয়ান গ্রামে হৃদপিণ্ডে ছিদ্র নিয়ে জন্ম নেওয়া দুস্থ পরিবারের একটি শিশু সম্পর্কে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে তা প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসে। প্রধানমন্ত্রী শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। এ সময় ইউএনও মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান ওই দুস্থ পরিবারকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা যাতায়াত ও সেখানে থাকা খাওয়া বাবদ ৪০ হাজার টাকা প্রদান করেন।

মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খানের এসব নানামুখী কার্যক্রম জেলা প্রশাসনের ভাবমূর্তিকেও বেশ উজ্জ্বল করেছে। তার মতো একজন সৎ ও আদর্শবান কর্মকর্তার প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাবোধ সবসময় থাকবে বলে মনে করেন ভাঙ্গুড়া উপজেলাবাসী।

ইউএনও মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান শেরপুর জেলার শেরপুর সদর উপজেলার হেরুয়া তালুক পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন খান ও ফরিদা খানমের ছেলে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক সন্তানের জনক। মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান ৩৪ তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার হিসেবে যোগদান করেন।

ভাঙ্গুড়া পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, তিনি নি:সন্দেহে একজন ভাল মানুষ। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় উপজেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রনাধীন প্রতিটি দপ্তরের কাজে গতি ও স্বচ্ছতা এসেছে। নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন ও জনকল্যাণমূলক কাজ করে তিনি দক্ষ মানবিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলাবাসীর হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, পাবনা-৩ এর সংসদ সদস্য ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সভাপতি আলহাজ মো: মকবুল হোসেন এমপি ও জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল স্যারের দিক নির্দেশনা মোতাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন ও ভাঙ্গুড়াকে একটি আধুনিক উন্নত উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের সেবক। প্রচার ও বাহবা পাওয়ার জন্য নয়, যা কিছু করি আত্মতুষ্টির জন্য। এটি আমার নৈতিক দায়িত্ব। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মূলধারার গণমাধ্যমকর্মী এবং সমাজের বিশিষ্টজনরা আমার কাজে সহযোগিতা করছেন। কে কি বলল আর কে কি লিখল সেটা নিয়ে কখনো ভাবি না। দেশ ও জাতির জন্য কি করতে পারলাম সেটাই বড় কথা। আমি হয়তো একদিন এই উপজেলায় থাকব না কিন্তু থেকে যাবে আমার কর্ম। যদি ভাল কাজ করে যেতে পারি, তাহলে এই জনপদের মানুষ আমাকে আজীবন মনে রাখবেন।

 

 

#CBALO / আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর