সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
রবিবার (২১ আগস্ট) সকাল ১০টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ খন্দকার।
আলোচনাসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগ তাড়াশ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত কর্মকার।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যার পর চার নেতাকেও ষড়যন্ত্র করে কারাগারে হত্যা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করার হীন প্রচেষ্টা চালানো হয়। তৎকালীন রাষ্ট্রীয় যন্ত্রের পৃষ্ঠপোষকতায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হন। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা। আহত হন শতাধিক নেতাকর্মী।
সঞ্জিত কর্মকার বলেন, ২১ আগস্ট অনেকেই চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন। কেউ কেউ আজও ফিরে পাননি স্বাভাবিক জীবন। গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের দুর্বিষহ যন্ত্রণা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন মৃত্যুর দিকে। শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও তার শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দেশ ও জাতির কল্যাণে এ অশুভ শক্তিকে আর ক্ষমতায় আসতে দেয়া যাবে না।
আলোচনাসভায় আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রজত ঘোষ, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর ইসলাম লাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান, প্রচার সম্পাদক আব্দুল খালেক তালুকদার, তালম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্বাউজামান, মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি এম আতিকুল ইসলাম বুলবুল, নওগাঁ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন, যুবলীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন খান, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আলী বিদ্যুৎ, মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মনোয়ারা খাতুন মিনি, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল কবির লিমন, উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, যুব মহিলা লীগ সভাপতি শায়লা পারভীন প্রমূখ।