“জনগণের বিশ্ববিদ্যালয়
তার নাম পাঠাগার/ গ্রন্থাগার,
মনের ক্লান্তি দূর করতে
একটু সময় হবে কি তোমার?
বিশ্বকে জানার জন্য
এখানে আছে যত লেখনী,
জ্ঞান অন্বেষণ করতে সেখানে
কখনও কি যাওনি !
বিনা পয়সায়, বিনা পরিশ্রমে
যেতে পারো সেখানে,
জ্ঞানার্জন তুমি করতে পারো
যা বিলিয়ে দেবে সমাজে ।
দেশ- বিদেশের কত খবর
এদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি,
নিজেদের অধিকার আদায়ে যারা
দিয়ে গেছেন আত্মাহুতি।
দেশের ঐতিহ্য তুলে ধরতে যারা
লিখেছেন গল্প- কবিতা- কলাম,
দেশ গঠনে অবদান রেখেছেন যারা
তাদের জানাই হাজারো সালাম।
আদর্শ জীবন গঠন করতে
নবী- রাসুল, সাহাবাদের আগমন,
ধর্মের ইমাম,পীর আউলিয়ার শা’ন
বুঝতে পড় আল ক্বোরআন ।
এসো ভালো একটা বই পড়ি
একটু সময় নিয়ে হাতে,
অন্যকেও আহ্বান করি
সময়টা বেশ কাটে যাতে ।
অযথা সময় নষ্ট না করে
গ্রন্থাগারে/ পাঠাগারে চলো যাই,
জনগণের বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার
এর তুলনা কিন্তু নাই।
নারী পুরুষের ভেদাভেদ নাই
জ্ঞানার্জনের লাগি,
সমাজ সংস্কার করতে যদি
একই সাথে মোরা জাগি।
ছাত্র- ছাত্রী, নবীন- প্রবীণের
মতামত, কর্মকাণ্ড কর জ্ঞাপন,
বিভিন্ন দিবসের মর্মবাণী বুঝতে
যথার্থভাবে কর তা উদযাপন।
শিশুদের জন্য ছড়াপাঠ, নৃত্য
খেলাধূলা, আরো রয়েছে চিত্রাঙ্কন,
গৃহিণী মায়ের আয় বাড়াতে
আছে সরকারি-বেসরকারি সেশন।
ইসলামী সঙ্গীত, দেশাত্মবোধক
হামদ্- না’ত, ক্বেরাত প্রতিযোগিতা,
আয়োজন করতে সদা সর্বদা
করো সবাই স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা।
যখন তুমি বিষণ্ণ হয়ে যাও
পাশে কেহ নাই তোমার,
বিষণ্ণ মনের চিকিৎসার জন্য
খুঁজে বের কর একটি গ্রন্থাগার।
মাস্টার আব্দুল লতিফ স্মৃতি পাঠাগার
এমনি একটি ঠিকানা,
কবিতার ছন্দে লিখে গেলাম
যাতে সকলের থাকে তা জানা।
টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলায়
সলিমাবাদ নদীর পশ্চিম পাড়,
যে কেউ জ্ঞানার্জনের জন্য এসো
সর্বদা খোলা আছে এর দ্বার ।।