মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল একদিনে নেতা হয়নি। তিলে তিলে সংগ্রাম করেই আজকের অবস্হান সদৃঢ় করতে পেরেছে। উল্লাপাড়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত একটি আওয়ামী পরিবারের সন্তান। যে পরিবারের কোন সদস্য বা সদস্যা বঙ্গবন্ধু’র আদর্শের বাইরে কোন সংগঠনে জড়িত ছিল না বা আজও নেই। ঐতিহ্যবাহী উল্লাপাড়া গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত ও রাজনৈতিক পরিবার উজ্জ্বলদের পরিবার। ব্যবহার ও আচার আচরণে শান্ত স্বভাব ও দক্ষ নেতৃত্বের গুনে উজ্জ্বল দিন দিন উজ্জ্বলতা ছড়াচ্ছে। উজ্জ্বলের দাদা মীর জয়নাল আবেদীন লালু মিয়া আওয়ামীলীগের জন্মলগ্ন থেকেই জড়িত ছিলেন। এই পরিবারের আত্মীয়তা সম্পর্কিত অ্যাডভোকেট গোলাম হাসনায়েন নান্নু মিয়া ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের আদলে রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছিল মীর জয়নাল আবেদীন লালু মিয়া কে। শান্ত প্রকৃতির একজন ভাল মনের মানুষ ছিলেন মীর জয়নাল আবেদীন। তার চার ছেলে এক মেয়ে। ছেলেদের মধ্যে বড় ছিলেন মীর শহিদুল ইসলাম পুন্নু, আওয়ামীলীগের দীর্ঘ সময়ের সভাপতি ও আহবায়ক কমিটির আহবায়ক ছিলেন। এক সময়ে রিক্সা শ্রমিকদের শক্তিশালী সংগঠনেরও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। উল্লাপাড়া সদর ইউনিয়নের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। মেঝ মীর সামছুল ইসলাম আজাদ নিবেদিত আওয়ামীলীগের একজন সংগঠক ছিলেন। ছাত্র আমল থেকেই ছাত্রলীগের সক্রিয় নেতা- কর্মী ছিল।১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু কে হত্যা ও ৩রা নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় ৪ নেতা হত্যা সহ অসংখ্য নেতা- কর্মীকে জেলে আটক করে সামরিক শাসন জারি করে রাজনীতির কার্কলাপ নিষিদ্ধ করা হয়। ১৯৭৭ সালে ঘরোয়া রাজনীতির সুযোগে উল্লাপাড়ায় ছাত্রলীগের যে কমিটি করা হয় মীর সামছুল ইসলাম আজাদ অন্যতম পদবীধারি নেতা ছিল। আওয়ামীলীগের থানা কমিটির কার্যক্রমের সাথে জড়িত থাকা অবস্হায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় ইন্তেকাল করে। মীর শওকত শারীরিক অসুস্হতার আগে দলের সাথে যুক্ত ছিল। পরবর্তীতে অশুস্ত হয়ে বিছানায় ঠাই হয়েছিল, এ অবস্হায় মারা যায়। মীর শরিফুল ইসলাম খসরু বরাবরই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আওয়ামীগের সাথেই যুক্ত ছিল। এক সময়ে সেও মারা যায়। মীর শহিদুল ইসলাম পুন্নু’র স্ত্রী মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী,দু’ সন্তান ও মেয়েরাও সংগঠনের সাথে সক্রিয় রয়েছে। বড় সন্তান মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল ছাত্রলীগের আকবর আলী কলেজের ছাত্র সংসদে ১৯৯৮ সালে উজ্জ্বল- বকুল- শাহ আলম প্যানেলের নির্বাচিত ভিপি। এই প্যানেলের সকলেই বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিল। ছাত্রলীগ থেকে যুবলীগ, বর্তমান যুবলীগের উপজেলা আহবায়ক কমিটির আহবায়ক ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছে মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম মহোদয়ের একান্ত সচিব হিসেবে। ছোট ভাই মীর অপু বর্তমানে পৌর আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক। রাজনীতিতে ঘুন- কিড়ে নেই, আওয়ামী পরিবারের সন্তান।