সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

মহানবী (সা.)-কে কটূক্তি : এবার নিন্দা জানাল যুক্তরাষ্ট্র

চলনবিলের আলো আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আপডেট সময়: শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০২২, ১২:০৯ অপরাহ্ণ

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির জ্যেষ্ঠ দুই নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) মহানবী (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের নিন্দা জানায় দেশটি।

এর আগে মধ্যপ্রাচ্যসহ মুসলিম বিশ্ব থেকে কঠোর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে ওই ঘটনার। অনেক দেশই ভারতীয় পণ্যবর্জন ও ভারতীয় কর্মীদের চারকিচ্যুত করায় ব্যাপক অর্থনৈতিক চাপে পড়ে নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় সরকার।

শুক্রবার (১৭ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বিজেপির দুই নেতার করা আপত্তিকর মন্তব্যের নিন্দা জানাচ্ছি এবং দলটি প্রকাশ্যে সেই মন্তব্যগুলোর নিন্দা করেছে, যা দেখে আমরা আনন্দিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতাসহ মানবাধিকার-সংক্রান্ত বিষয়ে যেসব উদ্বেগ রয়েছে, সেসব বিষয়ে আমরা ভারত সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে নিয়মিতভাবে সংশ্লিষ্ট রয়েছি এবং মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে ভারতকে আমরা উৎসাহিত করছি।’

ভারতে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সাবেক মুখপাত্র নুপুর শর্মা এক টেলিভিশন শোতে অংশ নিয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। পরে দলটির নয়াদিল্লি শাখার গণমাধ্যম প্রধান নবীন জিন্দালও নুপুর শর্মার মন্তব্যের সমর্থনে টুইট করেন।

তাদের এই মন্তব্য দেশটির সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়কে ক্ষুব্ধ করে তোলে। এমনকি অভিযুক্তদের মন্তব্যের জেরে ভারতের কয়েকটি রাজ্যের মুসলিমরা বিক্ষিপ্তভাবে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেন। এরপর বিক্ষোভকারী মুসলিমদের বাড়িঘর বুল্ডোজার দিয়ে গুড়িযে দেয় ভারতীয় প্রশাসন। এসব ঘটনার রেশ ভারতের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।

পরিস্থিতি বিবেচনায় বিজেপি অভিযুক্ত নুপুর শর্মাকে বরখাস্ত এবং জিন্দালকে বহিষ্কার করে। পরে বিজেপির এই দুই নেতা প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে বিবৃতিও দিয়েছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, ১৯৯০-এর দশকের শেষের দিক থেকে ভারতের সাথে সম্পর্ক গভীর করার চেষ্টা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন বিশ্বাস করে যে, বিশ্বের এই দুটি বৃহত্তম গণতন্ত্রের অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। বিশেষ করে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলায় এই দেশ দুটির স্বার্থ একই।

এরপরও অবশ্য ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বেশ কয়েকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর