মোঃ কামাল হোসেন অভয়নগর যশোর থেকে:
মৃত্যুই সম্ভবত মানব জীবনের শ্রেষ্ঠ আর্শীবাদ। সেক্রেটিস। দার্শনিকদের জনক সক্রেটিস সম্ভবত কথাটি কেবল এজন্যই ব্যবহার করেছেন যে, মরে গেলে তিনি আদতে ফিরে এসে জানাতে পরবেন না কি হয়েছিল। তথাপি,তিনি মনে প্রানে বিশ্বাস করতেন যে,মৃত্যুর চেয়ে বড় সৃর্ষ্টিকর্তার আর কোনো আর্শীবাদ নেই। সক্রেটিসের মৃত্যুর ইতিহাস আমাদের সবারই মোটামুটি জানা আছে। ধর্মবিরোধ (মূর্তি পূজার বিরুদ্ধে) তরুণদের বিপদে চালিত করা এবং রাষ্ট্রদ্রোহী কাজ কর্মের জন্য তাকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করা হয়। অথচ তিনি বেচে যেতে পরতেন নিজের দোষ স্বীকার করে নেওয়ার মাধ্যমে। কিন্তু সেক্রেটিস এমন একজন মানুষ ছিলেন, যার যুক্তির কাছে মৃত্যুভয়ও হার মেনেছিল। তিনি নিজের নীতিতে অটল রইলেন। তিনি বলতেন, আমি দৈববাণী ছাড়া কথা বলিনা। প্লেটোর দি সিম্পোজিয়াম বইয়ে এটির উল্লেখ আছে।
যাই হোক তার নিকট মৃত্যু খুবই সহজ স্বাভাবিক একটি ব্যাপার ছিলো। মৃত্যুর সাথে ভয়ের সামান্যতম সম্পর্ক তিনি খুঁজে পননি। কারন তিনি মনে করতেন মৃত্যুর পর দুটি ঘটনা ঘটে থাকে। ১/ মৃত্যু একটি স্বপ্নহীন ঘুম। অর্থাৎ, মৃত্যু মানে চির নিদ্রায় শায়িত হওয়া, যে নিদ্রার কোনো শেষ নেই। সেক্ষেত্রে মৃত্যুকে ভয় পাবার আদৌ কোনো কারন আছে কি? ২/ মৃত্যু হচ্ছে অন্য পৃথিবীতে প্রবেশ করার টিকিট। হ্যা,এক পৃথিবী থেকে অন্য এক পৃথিবীতে যাওয়া যাবে মৃত্যুর পর যেখানে দুঃখ কষ্ট জড়া ক্লেশের মতো ব্যাপার গুলো থাকবে না।বরং সেখানে পূর্বে মৃত্যুবরন করা মানুষেদের সাথে দেখা হবে যা তার নিকট নিছক আনন্দের ব্যাপার। এক্ষেত্রেও মৃত্যুকে ভয় পাবার মতো কোনো উপকরণ খুঁজে পাননি সক্রেটিস।
কেন বলছি এসব কথা কারন অনেকেই সাবধান করে থাকে এটা বলোনা ওটা বলোনা ইত্যাদি। মানে হক কথা বলতে যেওনা কিন্তু আমি বিশ্বাস করি,মৃত্যুকে দুনিয়ার পাপি ও জালিমেরায় ভয় পাই বলেই হক কথা বলার সাহষ পাইনা। যে মনের গভীরে আল্লাহর নুরে আলোকিত হয়েছে তারা কি চুপ করে থাকতে পারে? মুমিন মরে একবার কাফের বেঈমান মরে বারবার আসুন মৃত্যুকে ভয় না করে আল্লাহুকে ভয় করি আর হক প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অবিচল থাকি।আমিন ইয়া রাব্বুল আলামীন। তথ্যটি তার ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া