রুশ আগ্রাসন মোকাবিলায় ইউক্রেন গত কয়েক দিনে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তাদের সামরিক চাহিদা বহুলাংশে বাড়িয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বিমান-বিধ্বংসী ও ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র।
হাতে পাওয়া এক নথির বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, সামরিক সহায়তা হিসেবে অস্ত্র চেয়ে একটি তালিকা করে যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতাদের বরাবরে পাঠিয়েছে ইউক্রেন। সেই তালিকায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য স্টিঙ্গার ক্ষেপণাস্ত্র এবং ট্যাংক-বিধ্বংসী জ্যাভেলিন ক্ষেপণাস্ত্রের চাহিদা বেড়ে গেছে।
অস্ত্র সামগ্রীর ওই নথিতে দেখা গেছে, ইউক্রেনীয়রা জরুরিভিত্তিতে প্রতিদিন দৈনিক ওই দুই ধরনের ৫০০টি করে ক্ষেপণাস্ত্র চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। এর আগে সহায়তা চেয়ে যে তালিকা ইউক্রেন দিয়েছিল, তার চেয়ে এই চাহিদা অনেকটা বেশি।
রাশিয়ার অব্যাহত সামরিক হামলার মুখে অস্ত্র ঘাটতি দেখা দিতে পারে জানিয়ে নতুন করে এই অস্ত্রের চাহিদা দিয়েছে কিয়েভ – যা দেখে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো কর্মকর্তাদের মধ্যে কিছুটা আপত্তি তৈরি হয়েছে। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, এরইমধ্যে অনেক বেশি সামরিক সহায়তা ইউক্রেনে পাঠানো হয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তা হিসেবে যে ৩৫ কোটি ডলারের তহবিল অনুমোদন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস, ওই সহায়তার অস্ত্রও গত কয়েক দিনে সেদেশে পৌঁছেছে। একশ কোটি ডলারের আরও দুটো প্যাকেজ সেখানে পৌঁছাতে শুরু করেছে।
সিএনএনের হাতে পৌঁছানো ওই তালিকায় অন্যান্য অস্ত্রের চাহিদার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে, যার মধ্যে আছে জেট বিমান, অ্যাটাক হেলিকপ্টার এবং এস-৩০০ পর্যায়ের বিমান হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ওই তালিকায় রাশিয়ার তৈরি দুই ধরনের বিমানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যার মধ্যে একটি আকাশ থেকে ভূমিতে সেনাদের সহায়তা দিতে পারে। এ ধরনের ৩৬টি করে যুদ্ধ বিমান চেয়েছে ইউক্রেন।
কংগ্রেসে কিছু আইনপ্রণেতা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ইউক্রেন যেসব অস্ত্র চেয়েছে তা যত দ্রুত সম্ভব তাদের কাছে পৌঁছানো হোক।
#চলনবিলের আলো / আপন