নাটোরের বড়াইগ্রামে মেয়ের বিয়ের আগের দিন বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা নগর ইউনিয়নের মশিন্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগি বাড়ির মালিকের নাম আব্দুস সাত্তার খান (৭৫)। তিনি উপজেলার মশিন্দা গ্রামের মৃত রফিজ উদ্দিনের পুত্র। তার শয়ন ঘরসহ তিন ছেলের আটটি শয়ন ঘর মিলে মোট ১৩টি ঘরপুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্কুল শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, আব্দুস সাত্তার খান আমার বড় ভাই। আমার ভাই ছেলেসহ বসবাস করত। আগামী শুক্রবার আমার ভাইয়ের নাতনীর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার কথা ছিল। সেই উপলেক্ষ্যে বিয়ের বাজার সরঞ্জামাদি সম্পূর্ণ করা হয়েছিল। ধারনা করা হচ্ছে বিয়ের জন্য টাকা পয়সা বাড়িতে আছে এমনটি ভেবেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রায় ছয় মাস পূর্বে একই গ্রামের মোতালেব মন্ডলের ছেলে জিল্লুর মন্ডল (৪৫) শিমের গাছ কেটে দিয়েছিল। স্থানীয় ভাবে বিষয়টি মিমাংসা করে ৩০ হাজার টাকা জড়িমানা দিয়েছিল। তখন সে হুমকি দিয়েছিল।
আকবর হোসেন খান বলেন, আগুন দেখে বের হতে গিয়ে বাহির হওয়ার গেট বন্ধ পাই। আমার পরিবারের সকল কিছু আগুনে পুরে শেষ হয়ে গিয়েছে। আমার মেয়ের বিয়ের জন্য গহণা ও নগদ দুই লক্ষাধীক টাকা পুড়ে গেছে। এছাড়াও চারটি ছাগল পুরে মারা গেছে। সর্বমোট প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি করা হয়েছে।
প্রতিবেশী আজিরদ্দিরের ছেলে ইমন আলী বলেন, ছাগলের ডাকাডাকি শুনে ঘুম থেকে উঠে দেখি আব্দুস সাত্তারের খড়ির ঘরে আগুন জ্বলছে। আমি বাড়ির ভিতরে ঢুকতে গিয়ে দেখি তার গেটের বাহির থেকে দরজা বন্ধ। আরো লোকজন এসে দরজা ভেঙ্গে পরিবারের সবাইকে উদ্ধার করি। পরে দমকল বাহিনীর কর্মীরা কয়েক ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
সিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, চিৎকার শুনে বের হতে গিয়ে দেখি আমার দরজা বাহির থেকে বন্ধ। এছারাও আমার বড় ভাই সাদের খাক ও আব্দুস সাত্তার খানের ছেলে আজিম খানের বাড়ির দরজা বাহির থেকে বন্ধ।
জিল্লুর রহমান বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম না। আমি এধরনের ঘটনা ঘটাতে যাব কেন।
বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক আবু সিদ্দিক বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
#চলনবিলের আলো / আপন